
যশোর অফিস : যশোরে যৌতুক দাবির অভিযোগে দুই গৃহবধূর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে আলাদা মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার যশোর শহরের নাজির শংকরপুরের আব্দল্লাহ আল মামুন ও কেশবপুরের মির্জাপুর গ্রামের শহীদ হোসেন সাদ্দাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগটি স্থানীয় কাউন্সিল ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, যশোর সদরের বিশ্বাসপাড়ার নুর মুহাম্মদরে বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মফিজুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা খাতুন ও মণিরামপুরের গোবিন্দপুর খানপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর মেয়ে তানজিলা খাতুন।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ফাতেমা খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিয়ের সময় সাধ্য অনুযায়ী তাকে গহনা দেয়া হয়েছিল। তাদের দু’টি সন্তান আছে। সংসার জীবন চলাকালে কারণে অকারনে ফাতেমা সংসারে অশান্তি শুরু করতো। আসামি ফাতেমা তার পিতার বাড়ির লোকজনের পরাশর্শে শহরের বেজপাড়ায় তার নামে জমি কিনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ফাতেমাকে জমি কিনে না দিলে সংসার করবেনা বলেও জানিয়ে দেন। গত বছরের শেষ দিয়ে আসামি ফাতেমা বাড়িতে থাকা ৫ লাখ টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান। পরে বিয়ষটি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
অপর মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামি তানজিলা খাতুনকে বিয়ে করেন শহীদ হোসেন। বিয়ের পরে লেখাপাড়া চালিয়ে যান তানজিলা খাতুন। অনার্স শেষ করতে তানজিলা খাতুন তার স্বামীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। অনার্স শেষ হওয়ার পর তানজিলা খাতুন উচ্ছৃংখল জীবন যাপন শুরু করেন। কাউকে কিছু না বলে পিতার বাড়ি যেয়ে দীর্ঘ দিন অবস্থান করতে থাকেন। তানজিলাকে সংসারে মনযোগী হওয়া কথা বললে ১০ কাঠা জমি কিনে তার নামে লিখে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় সংসার করবেনা বলে তানজিল তার পিতার বাড়ি চলে যান। চলতি মাসের প্রথম দিকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তার স্বামী আদালতে এ মামলা করেছেন।