
যশোর অফিস : দিন দুপুরে যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সানজিদা ইয়াসমিন চুমকি (১৬) অপহরনের অভিযোগে দুই দিন পর কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে মামলাটি করেন শহরের পুরাতন কসবা (আজিজ সিটি কাজী পাড়া) এলাকার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও সুলতান আলীর মেয়ে আলেয়া। মামলায় আসামি করেন অভয়নগর উপজেলার বাগদা গ্রামের মতিয়ার রহমান খাঁনের ছেলে সাহাদী হাসান খাঁনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় অপহৃতা তরুনীর মা আলেয়া উল্লেখ করেন, তার মেয়ে সানজিদা ইয়াসমিন চুমকি যশোর সরকারি এমএম কলেজের বাণিজ্য বিভাগের এইচএসসি ছাত্রী। বর্তমানে উক্ত মেয়ে কলেজে অধ্যায়নরত আছে। বাদীর মেয়ে নিজ বাসা হতে প্রতিদিন উক্ত কলেজে যাওয়া আসা করতো। এরাই ধারাবাহিকতায় কয়েকমাস পূর্বে সাহাদী হাসান খাঁনের সাথে চুমকির পরিচয় হয়। গত ২৩ জুন বেলা ১১টায় চুমকি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাড়ি হতে বাজারে গেলে আসামি সাহাদী হাসান খাঁনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা বাদির নাবালিকা মেয়েকে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজির করতে থাকে। কিন্তু কোথাও চুমকিকে না পেয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে সাহাদী হাসান খাঁনের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে স্বীকার করে তার সঙ্গে আছে। সাহাদী হাসান খাঁন নাবালিকা মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে স্বামী বাড়িতে আসলে ঘটনার বিষয়ে উপস্থিত লোকজনকে জানিয়ে আসামীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাহাদী হাসান খাঁনের পিতামাতা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। উপরোক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন আসামিদের সহায়তায় নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অপহৃতা কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধার কিংবা অপহরণকারী কাউকে আটক করতে পারেনি।