যশোর অফিস : যশোরের শার্শায় শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীকে আনতে যেয়ে বেধড়ক মারপিট ও গুরুতর জখমের শিকার হয়েছেন জামাই। এতে করে তার এক চোখ চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে মামলা করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে শার্শা থানার ওসিকে এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি করেছেন শার্শা উপজেলার কাঠশিকরা নাভারন গ্রামের মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন। আসামিরা হলেন, একই গ্রামের তাজরুল ইসলাম, মুক্তার হোসেন, আক্তার হোসেন, মৌসুমি খাতুন ও আকলি খাতুন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি ফুটপাতে ফলবিক্রি করে জিবিকা নির্বাহ করেন। আসামিরা সকলেই তার শ্বশুরবাড়ির আত্মিয়। তার স্ত্রী ছাবিনা বেগমের সাথে মনোমালিন্য হয়। গত বছরের পহেলা আগস্ট ছাবিনা তার বাবার বাড়ি চলে আসে। গতবছরের ৮ আগস্ট তিনি শ্বশুড়বাড়িতে যান স্ত্রীকে আনতে। রাত ১০টার দিকে আসামিদের সাথে
বাদীর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় আসামি তাজরুল ইসলাম তার হাতে থাকা টর্চ লাইট দিয়ে আঘাত করে। এসময় অন্যরা লোহার রডসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করে। পরে আশপাশের লোকজন এসে বাদীকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চোখের নিচে চারটি সেলাই করে। কিন্তু কোনোই লাভ হয়না।
পরবর্তিতে তাকে ইসপাহানি চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পরও কোনো লাভ হয়না। পরে ডাক্তার জানিয়ে দেয় বাদীর বামচোখ স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। শেষমেষ তিনি আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে শার্শা থানাকে এজাহারের নির্দেশ দেন।