যশোর অফিস : যশোরে বেপরোয়া গতিতে চলা পিকআপ গাড়ির হেলপার জুনায়েদ হোসেন আবির (১৮) নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে যশোর-মণিরামপুর মহাসড়কের সতীঘাটা এলাকায় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবির দশম শ্রেনিতে লেখাপড়া করতো। তার খালা খুলনার রূপসা উপজেলার ইলাইপুর গ্রামের আব্দুল হকের স্ত্রী আরেফা খাতুন যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেছেন। আবির একই গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে।
আরেফা খাতুন জানিয়েছেন, তার বড় বোনের ছেলে জুনায়েদ হোসেন আবির এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ধরণের কাজকর্ম করতো। একই গ্রামের আব্দুল গফ্ফার মল্লিকের ছেলে আলী হোসেন (ঢাকা-মেট্রো-ন-১৯-৮৯১৫) নম্বর এ কটি পিকআপ গাড়ির চালক। ১৭ জানুয়ারি ভোর রাতে আবিরকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে আলী হোসেন। ওইদিনই সকাল ৬টার দিকে বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালিয়ে যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটায় পৌছানো মাত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয় আবির। এরপরে চালক আলী হোসেন সেখান থেকে পালিয়ে চয়ে যায়। কিন্তু দুর্ঘটনার বিষয়টি আবিরের পরিবারকে কিছুই জানায়নি। ওইদিন দুপুরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে আবিরের লাশ শনাক্ত এবং ময়না তদন্ত শেষে বুঝে নেয়। এরপরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। কিন্তু মামলার আসামি আলী হোসেনের নাম এজাহারে উল্লেখ করতে চাইলেও পুলিশ অনীহা প্রকাশ করে। ফলে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়েই মামলাটি করা হয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছে, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে আনার আগে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। আর সে কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত