যশোর অফিস : যশোরে ইন্টার্ন চিকিৎসক জাকির হোসেন বিপ্লবকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে দায়ের করা অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে থানা পুলিশ। হত্যাচেষ্টার শিকার জাকির হোসেনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে থানায় এই মামলা রেকর্ড করা হলেও কোন আসামি আটক হয়নি।
আসামীরা হলেন, যশোর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র শামীম হোসেন, প ম ব্যাচের ছাত্র আবদুর রহমান আকাশ, ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্র মেহেদী হাসান লিয়ন, নবম ব্যাচের ছাত্র শাকিব আহমেদ তনিম, সৌম্য সাহা, দশম ব্যাচের ছাত্র তন্ময় সরকার ও সপ্তম ব্যাচের ছাত্র রাসেল।
বাদী মামলায় বলেছেন, তার ভাই জাকির হোসেন বিপ্লব যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও কলেজের হোস্টেলের ১০৫ নং কক্ষের থাকেন। জাকির হোসেনের পাশের কক্ষে আসামিরা মাদক সেবন ও হৈচৈ করতেন। এতে পড়াশুনার অসুবিধা হওয়ায় জাকির হোসেন প্রতিবাদ করায় তাকে খুনজখমের হুমকি দিয়েছিলেন আসামিরা। গত ৩১ জানুয়ারি ১০২ নং কক্ষে আসামিরা গাঁজা সেবন করে হৈচৈ করছিলেন। এসময় জাকির তাদের হৈচৈ করতে নিষেধ করায় আসামি রাসেলের নির্দেশে অপর আসামিরা রাত পৌনে ৯ টার দিকে জাকির হোসেনের রুমে হামলা করেন। তারা জাকির হোসেনকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালান এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, কাগজপত্র ও চাবি নিয়ে যান। এসময় জাকির হোসেনের চিৎকারে আশেপাশের রুমের আবাসিক ছাত্ররা এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনার পর জাকির হোসেনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার দিয়েছিলেন। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি গ্রহণ না করায় জাহাঙ্গীর আলম আদালতে এই মামলা করেছিলেন।
আদালতের ওই মামলাটি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ওই মামলাটি রেকর্ড করেছে। কিন্তু কোন আসামি এখন পর্যন্ত আটক হয়নি।