
যশোর অফিস : যশোরে ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে তিন সন্ত্রাসী পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। গত সোমবার রাতে এলাকা থেকে ওই তিনজনকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আটক তিনজনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৬ দিন আগে শহরের শংকরপুরে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ইসলাম প্লাস্টিকের কারখানায় দুইটি অস্ত্র রেখেছিল তারা।
মঙ্গলবার আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে দুইজনে ওই অস্ত্রের মালিক এবং চাঁদা না পেয়ে অস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ জবানবন্দি শেষে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। আটককৃতরা হলো, শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার বাসিন্দা বর্তমানে খড়কি হাজামপাড়ার হাজেরা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মুরাদ সরদারের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুম্মান, খড়কি হাজামপাড়ার হাদিউজ্জামান মোল্যার ছেলে আরমান হোসেন ও সদর উপজেলার কাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া যশোর কলেজ রোডের হোসেন মোল্যার বাড়ির ভাড়াটিয়া জাকির হোসেনের ছেলে রাহাত হোসেন।
অস্ত্র মামলায় পলাতক অন্য আসামিরা হলো, শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া তুলোতলার রিপন হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন প্রিন্স, চাঁচড়া রায়পাড়ার ডেপ পকেটমারের ছেলে সাগর ও বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড় ফুডগোডাউন এলাকার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে শুভ।
ডিবি পুলিশের ওসি রূপণ কুমার সরকার জানিয়েছেন, চাঁদা দাবিতে রাখা অস্ত্রের মালিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় থানায় মামলার পরে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।