যশোর অফিস
যশোরের অভয়নগরের শ্রমিক কেয়া হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কেয়াকে প্রথমে এসিড নিক্ষেপ করে এরপর মারপিট করে হত্যা করে পালিয়ে যায় শামীম নামের আরেক শ্রমিক। পুলিশের চার্জশিটে উঠে এসেছে এমন তথ্য। আসামি শামিম হোসেন অভয়নগর উপজেলার জাফরপুর গ্রামের খন্দকার মোশারফ হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা কেয়া খাতুন তার মামা লুৎফর রহমান মজুমদারের কাছে ওই গ্রামেই থাকতেন। আসামি শামিম হোসেন তাদের দুর সম্পর্কীয় আত্মীয় । শামীম ও কেয়া আকিজ গ্রæপের এসএএফ লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এরমাঝে শামীম বিভিন্ন সময় কেয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু কেয়া রাজি না হওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয় শামীম। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তার দিতে থাকে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর দুজনেই ওই মিলে কাজ করছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে মিলের ক্রাস্ট ইউনিটের ভিতরে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কেয়া। সেই সময় শামিম উত্ত্যক্ত করতে থাকে। কু প্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় শামিমের হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের মগে এসিড কেয়ার গায়ে ঢেলে দেয়। কেয়া চিৎকার করলে পাশে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে শামিম পালিয়ে চলে যায়। এরপর কেয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কেয়াকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় কেয়ার মামা অভয়নগর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।