
যশোর অফিস : যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ও কারারক্ষীদের জন্য খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের দরপত্র আহবানে কাঠের জ্বালানি দরপত্র দাখিলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করায় কারা কর্তৃপক্ষের ছয় মাসে সাড়ে ৭ লাখ টাকা অধিক গুনতে হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কারাগার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গত মাসে কারা কর্তৃপক্ষ যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আসামী ও রক্ষিদের জন্য খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ জন্য দরপত্র আহবান করেন। খাদ্যদ্রব্য দরপত্রের মধ্যে জ্বালানি সরবরাহ লটে কারাগার সংশ্লিষ্ট ৮টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের দরপত্র দাখিল করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যে প্রতিষ্ঠান সর্বনিন্ম রেট অর্থাৎ মূল্য প্রদান করবেন সেই প্রতিষ্ঠান সরবরাহের চূড়ান্ত হবেন। তেমনই এম কে আল মামুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাঠের জ্বালানি সরবরাহে সর্ব নিন্ম মূল্য দেওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের ১ জুলাই থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩ হাজার কুইন্টাল জ্বালানি নিবে। দরপত্রে শুকনো চেরাই কাঠ প্রতি কুইন্টাল ৫২০ টাকা ও কাঠের লক জ্বালানি প্রতি কুইন্টাল ৭৭০ টাকা দরে চূড়ান্ত করেন। সেক্ষেত্রে শুকনো চেরাই কাঠ প্রতি কুইন্টাল ৫২০ টাকা দরে ও কাঠের লক জ্বালানি প্রতি কুইন্টাল ৭৭০ টাকা দরে নেওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি কুইন্টালে ২৫০ টাকা হারে অধিক গুনতে হবে। আগামী ৬ মাসে ৩ হাজার কুইন্টাল জ্বালানি কাঠে সাড়ে ৭ লাখ টাকা অধিক গুনতে হবে। সূত্রগুলো বলেছেন, শুকনো চেরাই কাঠ রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে বন্দি ও রক্ষিদের খাদ্য তৈরীতে দ্রুত সহায়তা করবেন। সেখানে কাঠের লক জ্বালানি প্রতি কুইন্টাল অতিরিক্ত ২৫০ টাকা দরে কিনে কারা কর্তৃপক্ষের লোকসান ছাড়া লাভ হবে কি?

