
যশোর অফিস: যশোর জেলা ছাত্রদলের ৩৯৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আংশিক কমিটির তিন বছরেরও বেশি সময় পর মঙ্গলবার রাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
তবে কমিটি ঘোষণার পরপরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জেলা ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের ভাষ্য, ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে আওয়ামী লীগের মিছিলে থাকা অনেককে পদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই এ নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বিদ্রুপ মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজীদুর রহমান সাগরও। তিনি গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়ে এই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন ‘যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের প্রস্তাবিত জেলা কমিটিতে এমন একটি নামও পাঠাননি, যারা থানা/পৌর/কলেজ কমিটিতে আছেন। অতএব, অধীনস্থ ইউনিট কমিটিতে পদে থাকা এক ডজনের বেশি ব্যক্তি আজ জেলা কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ার দায়-দায়িত্ব শুধুমাত্র তাদের, যারা আগামীদিনের রাষ্ট্রনায়ক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশিত নীতিমালা অপদস্থ করে তাদের নাম জেলায় ঢুকিয়েছে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘শুধু তাতেই ক্ষ্যান্ত হননি তারা, যশোর জেলা কমিটিতে প্রায় ডজনখানেক ব্যক্তিকে একই নামে দুইটি করে পদ দিয়েছেন। ছাত্রদলের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠনকে হাসির বস্তু বানানোর অপচেষ্টার দায়ভার কাদের ?’এই স্ট্যাটাসের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি লেখেন- ভাল-মন্দ মিলিয়ে যশোর জেলা ছাত্রদলের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়েছে, তাতে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতিমালা মেনে যারা উপজেলা/পৌর/কলেজ কমিটিতে আছেন, তাদের মধ্য যারা জেলা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন; কমিটি থেকে অচিরেই অব্যাহতি দেয়া হবে। সদ্য ঘোষিত কমিটিতে যারা দীর্ঘদিন মাঠে না থেকে বা নিষ্ক্রিয় থেকে পদ পেয়েছেন বা যোগ্যতার চেয়েও বড় পদ পেয়েছেন তার দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংসদের উপর দিয়েছেন স্ট্যাটাসে।উল্লেখ, ২০১৮ সালের ১৩ জুন রাজীদুর রহমান সাগরকে সভাপতি ও কামরুজ্জামান বাপ্পিকে সাধারণ সম্পাদক করে যশোর জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ৩২ জনকে। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৫০ জন, সহ সাধারণ সম্পাদক ৫৪ জন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে ৪৫ জনকে। কমিটিতে স্থান পাওয়া বাকি নেতারা বিভিন্ন সম্পাদক পদে ও সাধারণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন।