
॥ মাদক মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন ॥
যশোরে হেরোইন ও ফেনসিডিলের মামলায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। বুধবার অতিরিক্তি দায়রা জজ ৩য় আদালতে বিচারক তাজুল ইসলাম এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোরের ঝিকগাছার কুমড়ী গ্রামের সিয়াব আলীর ছেলে হারুন অর রশীদ ও সাতক্ষীরা কলারোয়ার রামভদ্রপুর গ্রামের সিরাজ ময়রার ছেলে সাইফুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্তি পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। সাজাপ্রাপ্ত দুইজনই পলাতক রয়েছে।
॥ হত্যা মামলার আসামিদের রক্ষায় মাঠে একটি চক্র ॥
যশোর সদরের রূপদিয়ার ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামিদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন কচুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তারই ইন্দনে এ হত্যা মামলার সাক্ষীদের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বুধবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মোল্যা, যুবলীগের আহবায়ক ইশারত আলী, তরিকুল ইসলাম বিপুল, কাজী সারমিন সুলতানা তমা, মোহাম্মদ আলী ক্লে প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মোল্যা বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নিমতলী বাজারে হামলার শিকার হয় ইমরান, মোহাম্মদ আলী ক্লে, অপু, শহিদুল ও বল্টু। বিষয়টি জানতে পেরে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কচুয়া ইউনিয়ের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি দেখতে বলেন। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় চেয়ারম্যান রাজু পুলিশ সাথে তাদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থনে যান। ফেরার পথে পুনঃরায় হামলার শিকার হয় আহতরা। গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসাধীন অস্থায় মারা যায়।
॥ রেজিস্ট্রি অফিস ভলিউম থেকে জমির দাগ নম্বর মুছে ফেলার অভিযোগ ॥
যশোর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রক্ষিত একটি ভলিউম বই থেকে জমির দাগ নম্বর মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শিমুল আক্তার নামে এক নকলনবিশ ভলিউম বই থেকে জমিটির দাগ নম্বর মুছে ফেলার সাথে জড়িত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি ওই দপ্তরটির একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, ৩৭ নম্বর ভলিউম বই থেকে ২৭৬১ নম্বর দলিলের জমির দাগ নম্বর কৌশলে মুছে ফেলেছেন ওই নকলনবিশ। জমিটি ১৯৮৮ সালে ঝিকরগাছা রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধন হয়। জমিটির ক্রেতা ছিলেন ঝিকরগাছার বহিরামপুর গ্রামের রেজাউল হক, সিরাজুল ইসলাম ও রেবেকা খাতুন। জমির বিক্রেতা ছিলেন একই গ্রামের আব্দুল মালেক ও রোজিনা খাতুন।
সূত্র জানায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২৭৬১ নম্বর দলিলের নকল তোলা হয়। স্বপন কুমার নামে স্বাক্ষর করে নকলনবিশ শিমুল আক্তার দলিলের নকল তোলার দরখাস্ত জমা দেন। নকল নম্বর-২৫২৫৮।