জন্মভূমি ডেস্ক : গত শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে ‘ওয়েমো’র একটি চালকবিহীন গাড়িতে জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দেশটিতে চালকবিহীন গাড়িতে হওয়া এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।
মাইকেল ভ্যান্ডি নামের এক ব্যক্তি ঘটনাটির ভিডিও এক্স-এ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় লোকজন আতশবাজি পুড়িয়ে চীনা নববর্ষ উদযাপন করছিল। এই সময় এক ব্যক্তি গাড়ির হুডে উঠে কাচ ভেঙে ফেলেন। ভ্যান্ডির ভিডিওতে গাড়িটি আগুনে পুড়তে ও সেখান থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। ওয়েমো বলছে, গাড়ির ভেতরে কেউ একজন আতশবাজি ছুড়ে মারায় আগুন ধরে যায়।
দমকল বিভাগও বলছে, আতশবাজির কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। গাড়িতে কোনো আরোহী ছিল না এবং কেউ আহত হয়নি।
সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ বিভাগ বলছে, আগুনের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা তা জানায়নি পুলিশ।
জাগুয়ার আই-পেস মডেলের ইলেক্ট্রিক গাড়িতে ২৯টি ক্যামেরা ও সেন্সর আছে। গতবছর জেনারেল মোটর্স কোম্পানির চালকবিহীন গাড়ি ‘ক্রুজ’ একজন পথচারীকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে চালকবিহীন গাড়ির প্রতি মানুষের বৈরী আচরণ বাড়ছে।
অতীতে সান ফ্রান্সিসকো ও অ্যারিজোনার ফিনিক্সে চালকবিহীন গাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া, গাড়ির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা ও হুডে উঠে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সেন্সর যেন কাজ না করে সেজন্য কমলা রংয়ের ট্রাফিক কোণ দিয়ে গাড়ির সেন্সর ঢেকে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
গত সপ্তাহে সান ফ্রান্সিসকোতে একটি ওয়েমো গাড়ি একজন সাইক্লিস্টের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল। এতে সামান্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফিনিক্সে চালকবিহীন গাড়ি দিয়ে যাত্রী পরিবহণ সেবা চালু করেছে ওয়েমো। লস অ্যাঞ্জেলেস ও অস্টিনে সেবা চালুর চেষ্টা করছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রে চালকবিহীন গাড়িতে জনতার আগুন
Leave a comment