
জন্মভূমি ডেস্ক : স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন প্রধান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দেশের অনেক পৌরসভা বিলুপ্তির সুপারিশ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই সাথে সরকারি চাকরিজীবীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরুর কথাও জানিয়েছেন। এছাড়া দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের আইন বাতিল, সরাসরি মেয়র বা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ বন্ধসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে কমিশন। খবর বিবিসি।
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে শর্টকার্ট কোনো পদ্ধতি নেই। তাই একে ঢেলে সাজাতে তৃণমূল থেকে শুরু করে অনেকের মতামত আমরা গ্রহণ করছি। সেখানে এসব নানা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উঠে এসেছে।
এই সংস্কার কমিশন সারাদেশের ৪৯ হাজার মানুষের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করবে। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেয়ার কথাও ভাবছে কমিশন।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং জেলা পরিষদের সব পদ থেকে চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে। যে কারণে বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে গিয়ে অনেকে ভোগান্তিতে পড়ছেন। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর করতে কেউ কেউ এসব প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের কথাও বলছেন।
তবে এই প্রশ্নে এখনই সমাধান দেখছে না সংস্কার কমিশন। তারা মনে করছে, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা গেলে, চাইলে একই দিনে স্থানীয় সরকারের সবগুলো প্রতিষ্ঠানে ভোট করা সম্ভব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে, মানুষের আস্থা কমছে। গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে।”