By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: যে সংস্কৃতি আর ফিরে এলোনা,, ক্যাসেট আর টেপ রেকর্ডার
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > যে সংস্কৃতি আর ফিরে এলোনা,, ক্যাসেট আর টেপ রেকর্ডার
সাতক্ষীরা

যে সংস্কৃতি আর ফিরে এলোনা,, ক্যাসেট আর টেপ রেকর্ডার

Last updated: 2025/07/13 at 3:06 PM
করেস্পন্ডেন্ট 6 hours ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর:  বিশ্বনন্দিত জাদুকর পি সি সরকার মঞ্চে আস্ত এক রমণীকে ভ্যানিশ করে দিতেন , তিনিই আবার দর্শকদের মধ্য থেকে রুমাল নাড়তে নাড়তে মঞ্চে উঠে আসতেন৷ প্রেক্ষাগৃহ ফেটে পড়ত হাততালিতে৷ ম্যাজিকে ভ্যানিশ হয়ে যাওয়া জিনিস তো ফিরে পাওয়া যায়৷ কিন্ত্ত জীবন থেকে যে জিনিস হারিয়ে যায় , তা কি কখনও সেই ভাবে ফিরে আসে জীবনে ? বাঙালির গান শোনার ঐতিহ্য সুপ্রাচীন৷ ১৯০২ সালে ভারত উপমহাদেশে প্রথম ধ্বনিমুদ্রণের কাজ শুরু হয় সেই কলকাতায়৷ তার নাম ছিল গ্রামাফোন রেকর্ড৷ সহজ কথায় কলের গান৷ দম দেওয়া যন্ত্রে দম দিলে বড়ো বড়ো চাকতি ঘুরত৷ চোঙের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসত গান , কবিতা , নাটক , যাত্রার সংলাপ৷ ধীরে ধীরে প্রযুক্তির উন্নতি হয়৷ হাতে দম দেবার যুগ শেষে আসে বিদ্যুত্চালিত যন্ত্র৷ রেকর্ডিং -এর উন্নতি হয়৷
সেই যুগও একদিন শেষ হয়ে আসে৷ বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশক থেকে বাঙালির কাছে গান শোনার এক নতুন যন্ত্র এসে পৌঁছয়৷ তার নাম টেপ রেকর্ডার এবং ক্যাসেট৷ যদিও ক্যাসেট প্রযুক্তি বেশ পুরাতন৷ ১৮৮৬ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল -এর ভোলটা ল্যাবরেটারিতে আদি যুগের টেপ রেকর্ডার তৈরি হয়েছিল৷ ধীরে ধীরে প্রযুক্তি উন্নত হয়৷ ১৯৩৫ সালে উন্নত ধরনের যন্ত্র ম্যাগনেটোফোন আবিষ্কার হয়৷ আধুনিক চেহারার কম্প্যাক্ট ক্যাসেট তৈরি করে ফিলিপস কোম্পানি ১৯৬৩ সালে৷ আগে ছিল স্পুল টেপ এবং প্লেয়ার৷ সেই আমলের খুব ধনী ব্যক্তিরাই রেডিও বা গান শোনার যন্ত্র ব্যবহার করতেন৷ আমজনতার কাছে তা পৌঁছয়নি৷ সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে জাপানি প্রযুক্তির কল্যাণে ছোটো ছোটো সিগারেটের বাক্সের মতো ক্যাসেট বাজার ছেয়ে ফেলে৷ তাতে লম্বা সরু সেলুলয়েডের ফিতে থাকত৷
সেখানে গান বাজনা রেকর্ড করা যেত, আবার বাজানোও যেত৷ তখন সবার ঘরে ঘরে প্যানাসনিক টেপ রেকর্ডার এবং ক্যাসেট৷ তার পরের দু’টি দশক শুধুই ক্যাসেটের দশক৷ রেকর্ড কোম্পানি রেকর্ড তৈরি বন্ধ করে ক্যাসেট তৈরি করা শুরু করে , লাভের মুখও দেখে৷ কত রকম ক্যাসেট প্লেয়ার , ক্যাসেট রেকর্ডার৷ কোনওটা চ্যাপটা , কোনওটা রেডিয়োর মতো দেখতে৷ কোনওটা ডবল ডেক আবার কোনওটার নাম ওয়াকম্যান৷ পাইরেটেড রেকর্ড বেরিয়েছিল বলে শোনা যায়নি , কিন্ত্ত পাইরেটেড ক্যাসেটে ছেয়ে গেল বাজার৷ যার ফলে ক্যাসেট কোম্পানিগুলিকে ক্যাসেটের ইন লে কার্ডে লিখতে হল — ‘Beware of Pirated Cassette. It may damage your machine’৷
টি -সিরিজ কোম্পানির হাত ধরে পাইরেটেড ক্যাসেটের দ্রুত বাণিজ্যিকীকরণ ঘটল৷ এবং সামগ্রিকভাবে গানবাজানোর ব্যাপারটা তার আভিজাত্যের চড়া থেকে নেমে এল আমজনতার মাঝখানে৷ শুধু  শহরাঞ্চলেই নয় , গ্রামগঞ্জ ছেয়ে গেল আসল -নকল ক্যাসেটের দোকানে৷ সে সব দোকানে , পাড়ার চা সিগারেটের দোকানে ডেক-এ বাজতে থাকল নানা কিসিমের গান — বিশেষ করে হিন্দি গানের পাশাপাশি পালা গান,ভাটিয়ালী-ভাওয়াইয়া,জারী-সারী মিলিয়প দিন রাতের মধ্যে আঠারো ঘণ্টাই৷ আর এর ফলশ্রীতিতে গোটা আশির দশক জুড়ে রাজত্ব করেছে নতুন আঙ্গিকের ভজন আর গজল৷ পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে উঠল ছোটো -বড়ো অডিয়ো ক্যাসেটের দোকান , ভিডিয়ো ক্যাসেটের লাইব্রেরি৷ গ্রামেগঞ্জে তৈরি হল ভিডিও দেখানোর প্রেক্ষাগৃহ৷এর ফলে গ্রামের সংস্কৃতিতে এল বিধ্বংসী পরিবর্তন৷ মানুষ সিনেমা হলে যাওয়া ছেড়ে দিল৷ ফলে সিনেমা হলের বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া হল শুরু৷
সেই প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত৷ অল্প কিছু টাকা থাকলেই ক্যাসেট করে দেওয়ার কোম্পানি উঠল গজিয়ে৷ ক্যাসেটের কল্যাণে জন্ম হল অসংখ্য শিল্পীর , তাদের বেশির ভাগই হারিয়েও গেলেন কালের নিয়মে৷ রিমেক , রিমিক্স — এই সব শব্দ আর ব্যবস্থার জন্ম হল ক্যাসেটের কল্যাণে৷ প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় ফুলে ফেঁপে উঠল অডিয়ো বাণিজ্য৷ স্পিকার ব্যবস্থায় এল পরিবর্তন৷ মৃদু স্বরে গান বাজনা শোনা চিহ্নিত হল ‘ব্যাকডেটেড কালচার ’ হিসাবে৷ কত বেশি ওয়াট ব্যবহার করে উদ্দাম গান -নাচ করা যায় , শুরু হল তার প্রতিযোগিতা৷ তরুণ প্রজন্মের সংস্কৃতি হয়ে গেল নড়বড়ে৷ তবে শুধু খারাপ দিক নয় , কিছু ভালো দিক অবশ্যই ছিল ক্যাসেট সংস্কৃতির৷ রেকর্ডিং ব্যবস্থা সুলভ হবার জন্য শুরু হল ব্যক্তিগত এবং দীর্ঘ সময়ের রেকর্ডিং৷
ফলে সত্তর ও আশির দশকের শিল্পীদের দীর্ঘ সময়ের গান বাজনার রেকর্ডিং আজ আমরা পাচ্ছি এই ক্যাসেট সংস্কৃতির কল্যাণে৷ যেটা ডিস্ক রেকর্ডের যুগে সম্ভব ছিল না৷ ব্যক্তিগত রেকর্ডিং বিশেষ করে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের রমরমা হয়েছিল এই প্রযুক্তির সাহায্যেই৷ ভিডিয়ো ক্যাসেটের কল্যাণে ব্যক্তিগত ঘটনাও পরবর্তীতে বারবার চালিয়ে দেখার সুযোগ তৈরি হল , আশির দশক থেকে৷ এখন অবশ্য প্রযুক্তি বদলেছে৷ সেই সময়ে বিয়েতে ভিডিও না করলে স্বজনদের কাছে ‘ব্যাকডেটেড ’ বনে যাওয়ার আশঙ্কাও ছিল বেশ৷ আর এই সব কিছুই তৈরি করেছে অসংখ্য কর্মসংস্থান৷ সাতের দশকের বাঙালি তরুণ প্রজন্মের কর্মহীনতা অনেকটা ঘুচে গেছিল আশির দশকে এসে৷ ক্যাসেট সংস্কৃতি আমাদের উপহার দিয়েছে হারিয়ে যাওয়া সময়ের গান বাজনা ডিস্ক রেকর্ড থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্যাসেটে ট্রান্সফার করে৷ না হলে লালচাঁদ বড়াল কিংবা গহরজান এর গান কি কোনও দিন শুনতে পাওয়া যেত? ক্যাসেট সংস্কৃতি যেমন সঙ্গীতের আভিজাত্য নষ্ট করেছে , তেমনি পুনর্জন্মও ঘটিয়েছে৷ আমজনতার কাছে স্বল্প খরচে গান বাজনা পৌঁছেছে এই ক্যাসেট সংস্কৃতির কল্যাণে৷ ভালো মন্দ মিলিয়েই তো সব কিছু৷
নয়ের দশকের শেষ থেকে ক্যাসেট যুগ শেষ হতে থাকে৷ বাজারে এসে পড়ে অডিও সিডি , এমপি থ্রি , ভিসিডি , ডিভিডি , আইপ্যাড , পেন ড্রাইভ , এক্সটার্নাল হার্ড ডিস্ক , মোবাইল চিপ৷ পাশাপাশি ইন্টারনেটের কল্যাণে গান , বাজনা , ভিডিও মুহূর্তে পাওয়ার ব্যবস্থা৷ ধীরে ধীরে ক্যাসেট বাজানো কমে যেতে থাকে৷ ক্যাসেট কোম্পানি নতুন ক্যাসেট করা বন্ধ করে দেয়৷ বেশির ভাগ মানুষ পুরনো ক্যাসেট বাতিল লোহা -লক্কর -কৌটার মতো বিদায় করে দেন বাড়ি থেকে৷ এই ঘটনা অতীতে ডিস্ক রেকর্ডের ভাগ্যেও ঘটেছিল৷ সেই সব ক্যাসেট রাস্তায় বিক্রি হতে থাকে এক টাকা থেকে দশ টাকায়৷ কিছু কিছু সংগ্রাহক তা কিনেও নেন৷ লম্বা ক্যাসেটের ফিতা অলস ভাবে রাস্তায় আস্তাকুঁড়ে পরে থাকে৷ আমাদের চারপাশ থেকে ক্যাসেট ভ্যানিশ হয়ে যায়৷ কারণ ততদিনে জাঁকিয়ে বসেছে গান বাজনা শোনা বা বই দেখার অন্য মাধ্যম বিশেষ করে সিডি বা এফ এম রেডিও৷ ক্যাসেটের দোকান বন্ধ হয়ে সেখানে তৈরি হয় সিডি কিংবা মোবাইল ফোনের দোকান৷ বাংলার সংস্কৃতি আবার নতুন দিকে বাঁক নেয়৷ নব্বই এর দশকে এই ক্যাসেট সংস্কৃতিই জন্ম দিয়েছে নাগরিক গানের , জীবনমুখী গান , ব্যান্ডের গান আর বাংলা রক গানের৷ আজকের বিশিষ্ট শিল্পীদের সবাই এই ক্যাসেট যুগেরই অবদান৷ বাঙালি জীবনে ক্যাসেট সংস্কৃতি যুগসন্ধির অনুঘটক৷ জানা নেই , আগামীতে কোনও নতুন আকারে ক্যাসেট ফিরে আসবে কি না৷ আধুনিক বিজ্ঞানীরা বলছেন যে শব্দ বা ছায়াছবি সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম ম্যাগনেটিক টেপ যা ক্যাসেটে ব্যবহার করা হয়৷ বাকি সবগুলির ভবিষ্যত্ই অনিশ্চিত৷ কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া সবার বাড়ি থেকেই বিদায় নিয়েছে ক্যাসেট৷ রয়ে গেছে কিছু সংগ্রাহকের কাছে৷ তাঁরা যত্ন করে একে রক্ষা করার চেষ্টা করেন৷ প্রাণে ধরে আঁকড়ে রাখেন৷ কারণ এতেই রয়েছে তাঁদের যৌবনের ভালোলাগা ভালোবাসার স্বাক্ষর৷ আমরা যারা ক্যাসেটের যুগে বড়ো হয়েছি , আমাদের কাছে ক্যাসেট চলে যাওয়া তো প্রিয়জন বিয়োগের মতোই।
একসময় শীতের মৌসুমজুড়ে গ্রামের প্রায় বাড়িতেই বৈঠকি গানের আয়োজন করা হতো। সন্ধ্যা হলেই আমুদে গ্রামবাসীরা দলে দলে যোগ দিতেন সেই গানের আসরে। কেউ তবলা হাতে আবার কেউ ঢোল। কেউবা বাঁশি আবার কেউ কেউ সঙ্গে নিয়ে আসতেন হারমোনিয়াম। এভাবেই দলবেঁধে বাদ্যযন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে ছুটতেন কাঙ্ক্ষিত সেই গানের আসরে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গানের আসরও যেন পূর্ণতা পেত গ্রামের নানান বয়সি মানুষ সেখানে ভিড় জমাতেন। ছোটরা দু-এক ঘণ্টা গান শুনে বাড়ি ফিরলেও বয়স্করা ফিরতেন ভোরে। কোনো কোনো দিন রাত পেরিয়ে সকাল হলে বাড়ি ফিরতেন। একসময় এমনই দৃশ্য চোখে পড়ত গ্রাম-গঞ্জে।
কালের বিবর্তনে সে চিরচেনা সংগীত দেখা মিলে না আর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় গেছে সে দৃশ্য। গ্রামীণ সংস্কৃতির অংশ বৈঠকি গান। এই গানকে লালন ও ধারণ করে একসময় অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। সারা দেশের মতো ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বেশ কদর ছিল বৈঠকি গানের। সম্প্রতি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের দীর্ঘগ্রাম এলাকায় ওরস উপলক্ষে এ গানের আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশ নেওয়া গায়করা এ গানের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার দাবি জানান।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নের দীর্ঘগ্রাম এলাকার নুরুল ইসলাম। ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় বৈঠকি গান করেন তিনি। গান গেয়ে সংসার চালানো অসম্ভব বলে নিজ এলাকায় দিয়েছেন মুদি দোকান। তবু গানকে জীবনের একটি অংশে রেখেছেন। দিনে মুদি দোকানি হলেও সন্ধ্যায় কোথাও গানের আয়োজন হলে সে গানের আসরে বসেন তিনি।
বৈঠকি গান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার পরপর আমরা গানের আসরে যাইতাম। সে সময় অনেক বাড়িতেই বৈঠকি গানের আয়োজন ছিল। আমরা আনন্দ নিয়ে গান গাইতাম। এখন তো আর গানের আয়োজন হয় না এখন গানকে ধরে রাখতে একা একাই বাড়িতে কিংবা দোকানে বসেই গান গাই।’
বারুয়াখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মো. হারুন। বাপ-দাদার আমল থেকেই বৈঠকি গান শুনতেন। এরপর ধীরে ধীরে গানের প্রতি আগ্রহ থেকেই বৈঠকি গান শিখেছেন। এখন নিজেই বিভিন্ন এলাকার আসরে গান করে থাকেন। সময়ের সঙ্গে গানের আয়োজন কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া তার মতে এ গান সম্পর্কে আগামী প্রজন্মে জানবেই না। তবে ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পারলে আগামী প্রজন্মও গান সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ‘ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের গ্রামে অনেক বাড়িতে গানের আয়োজন হতো। শীত আসলেই গানের মৌসুম শুরু হয়ে যেত। এখন আর আগের মতো আয়োজন হয় না, তাই মনে আনন্দ থাকে না।’
দোহার উপজেলার বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। অন্ধ হলেও ছোটবেলা থেকে গানবাজনার সঙ্গে জড়িত। একসময় সারা বছর গানের আয়োজন কম থাকলেও শীতের মৌসুম এলে গানের আসর জমত। এখন শীত আসলেও আগের মতো গান হয় না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। তিনি আরো বলেন, ‘শখের বিষয়ে গান শিখেছি। একসময় খুবই ভালো চলছিল। এখন দিন দিন গানবাজনা আর হয় না। সংসারের খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা এখন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে লড়াই করছি।’
ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের সোহেল মিয়া নামের এক গায়ক বলেন, ‘গান শুনতে গিয়ে ঢোল বাজানো শিখেছি। গানের আয়োজন কম থাকায় দিন দিন ঢোল বাজানোও ভুলে যাচ্ছি।’ জৈনতপুর এলাকার মতিউর রহমান নামের এক গায়ক বলেন, ‘১৮ বছর ধরে গান গাই। এখন মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে। এখন শীত আসলেও গানের আয়োজন থাকে না। শীত আসলে আগেরকার দিনের কথাগুলো মনে পড়লে অনেক খারাপ লাগে।’ একই এলাকার রাজিব হোসেন নামে এক গায়ক জানান, ‘বাদ্যযন্ত্র মেরামত করতে যে খরচ হয় গান গেয়ে সে খরচও ওঠে না। মানুষ এখন গানে সন্তুষ্ট হয় না। আমরাও এখন এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে এসেছি।’

করেস্পন্ডেন্ট July 13, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article রেডিও, শৈশবের হারিয়ে যাওয়া রত্ন
Next Article নগরীতে সাবেক যুবদল নেতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১, রিমাণ্ড আবেদন

দিনপঞ্জি

July 2025
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Jun    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
সাতক্ষীরা

সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ১০ বাংলাদেশিকে পুশইন

By করেস্পন্ডেন্ট 4 hours ago
সাতক্ষীরা

কলারোয়ায় ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার

By করেস্পন্ডেন্ট 5 hours ago
মহানগর

নগরীতে সাবেক যুবদল নেতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১, রিমাণ্ড আবেদন

By করেস্পন্ডেন্ট 6 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সাতক্ষীরা

সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ১০ বাংলাদেশিকে পুশইন

By করেস্পন্ডেন্ট 4 hours ago
সাতক্ষীরা

কলারোয়ায় ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার

By করেস্পন্ডেন্ট 5 hours ago
সাতক্ষীরা

রেডিও, শৈশবের হারিয়ে যাওয়া রত্ন

By করেস্পন্ডেন্ট 6 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?