খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি : নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন যোগিপোলে মাত্র পাঁচ টাকার চিপস্ কেনাকে কেন্দ্র করে প্রতি পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত খুলনা মেডিখেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি মো. শাহিন খান(৩২) এর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানাগেছে। দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষ খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় মো. আব্দুল খালেককে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। হামলায় আহত মুন্না ও নিলার অবস্থা আশংকামুক্ত বলে জানা গেছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ৫টাকার একটি চিপস্ কিনে টাকা ভাঙ্গানোকে কেন্দ্র করে গত ১০ মে যোগিপোলে মুদি দোকানদার মো. আব্দুল খালেকের পুত্র মো. আসাদুল ইসলাম আসাদের সাথে একই এলাকার মো. শাহিন খানের সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় শাহিনের খালাতো বোন নিলা(৩৫) এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের রড ও লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয় তিনি। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে গত ১১ মে দুপুর আড়াইটার দিকে সিএনজি চালক মো. শাহিন খান আসাদের দোকানের পাশে তার গাড়ি রেখে বাসায় যাওয়ার পথে পূর্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. আসাদ, মো. সিরাজ, মো. মিরাজ, মো. শফিকুল ইসলাম, তাদের পিতা মো. আব্দুল খালেক, মো. সবুজ, মো. সুজন ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে শাহিনের উপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় শাহিনের খালাতো ভাই মো. মুন্না এগিয়ে আসলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় তাদেরকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন শহিনের ঘাড়ে ২২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছেন শাহিনের ঘাড়ের কোপ এবং মাথাসহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় মাঝে মাঝে তার জ্ঞান ফিরছে। এমন অবস্থায় শাহিনকে আশংকামুক্ত নয় বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। তবে হাসপাতালে ভর্তি মুন্নার পিঠে ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে সে আশংকামুক্ত বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। হামলার ঘটনায় আহত মুন্নার বোন শারমিন আক্তার সাথী বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেছে।
মামলায় খানজাহান আলী থানা পুলিশ এজাহারভুক্ত ৫নং আসামি মো. আব্দুল খালেককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপর পক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম. আসবাপত্র ভাংচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ এনে মো. শাহিন, মো. মিরাজ, মো. মুন্না এবং মো. নয়নসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জনকে আসামি করে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত