রূপসা প্রতিনিধি : বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ের কবি। তার সাহিত্যে রয়েছে হিন্দু মুসলিমসহ সকল ধর্মের মানুষের কথা। তিনি ছিন্নমূল মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তার রেখে যাওয়া চেতনা আজও সমাজের উচু নীচুর বৈষম্য দূর করে সকলকে সাম্যের কাতারে দাড় করাতে পারে। কারণ সাম্য গঠনের প্রচেষ্টার জন্য তিনি বিশ্ব কবি হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি গ্রামের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করতেন বলেই তার সাহিত্যে দুই বিঘা জমির মত অসংখ্য সাহিত্য কর্ম তিনি রচনা করেছিলেন। তার সৃষ্টিতে রয়েছে শিশু কিশোর যুবক এবং বৃদ্ধ মানুষের মনের কথা। তার সাহিত্য কর্ম চিরদিন মানুষের কাছে অম্লান হয়ে বেঁচে থাকবে। তিনি ৮ মে রূপসা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশা, সরদার মাহাবুবার রহমান, আতিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ডাঃ বঙ্গকমল বসু, চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুজ্জামান বাবুল, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইসহাক সরদার। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহান। মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন খুবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ তানভীর দুলাল। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উত্তরসূরী গোপাল চন্দ্র কুশারী। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ফরিদুজ্জামানের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাজজাদ হোসেন, নান্টু রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, প্রদীপ কুমার মজুমদার, বাপী কুমার দাস, সিরাজুল ইসলাম, আইরিন পারভিন, আমিনুল ইসলাম, জেসিয়া জামান, তারেক ইকবাল আজিজ, রেজাউল করিম, গোলাম মোস্তফা, আঃ মজিদ ফকির, চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, সাধন কুমার অধিকারী, আল মামুন সরকার, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, এসএম মাহবুবুর রহমান, কৃষ্ণ গোপাল সেন, কৃষ্ণপদ রায়, রবিউল ইসলাম, মুনীর হোসেন মোল্যা, শক্তিপদ বসু, মনিশংকর নাগ, শ্যামল কুমার দাস, নৃপেন্দ্রনাথ রায় প্রমুখ।