
রমজান মাস সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠছে। চক্রের সদস্যরা ভোক্তার পকেট কাটতে পুরোনো কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। রোজায় দাম বাড়ানো হয়েছে, এমন অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে তিন মাস আগে থেকেই বাড়ানো হচ্ছে পণ্যের দাম। জানা যায়, সিন্ডিকেট সদস্যরা এবার রমজান নির্ভর পণ্যের পাশাপাশি আরও বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বাড়তি দরে এসব পণ্য কিনতে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন থেকেই বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করে তুললেও তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা একেবারেই দৃশ্যমান নয়। অভিযোগ রয়েছে, বাজার পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশ রয়েছে। এ কারণেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সহজে পার পেয়ে যায়। এসব ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। যথাযথ নজরদারির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রমজান সামনে রেখে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আগে থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রমজানে যাতে মানুষের কষ্ট না হয়, সেজন্য সাশ্রয়ী দামে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের একাধিক সংস্থা বাজার তদারকি করবে। পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
কেবল রমজানেই নয়, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময়ে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করে থাকে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয় সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষ। রমজানে এরকম কোনো কারসাজি করে কেউ যাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধ করার জন্য আমদানিকারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভোগ্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্যে আমদানিনির্ভরতা কাটাতেও নিতে হবে পদক্ষেপ।