By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: রহস্যে ঘেরা রহিমা নিখোঁজের ২৯ দিন
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জাতীয় > রহস্যে ঘেরা রহিমা নিখোঁজের ২৯ দিন
জাতীয়তাজা খবর

রহস্যে ঘেরা রহিমা নিখোঁজের ২৯ দিন

Last updated: 2022/09/26 at 12:22 AM
করেস্পন্ডেন্ট 3 years ago
Share
SHARE

# রহিমার দাবি চারজন দুর্বৃত্ত তাকে অপহরণ করেছিল
# আদালতে জবানবন্দী শেষে বাড়ি ফিরেছেন ভিক্টিম

জন্মভূমি রিপোর্ট
খুলনার নিখোঁজ রহিমা বেগমকে পুলিশ ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে নাটকীয়ভাবে সুস্থ শরীরে উদ্ধার করার পর স্বস্তি ফিরে এসেছে রহিমা বেগমের মেয়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৬ জনের পরিবারের মধ্যে। তারা দাবি করেছেন, রহিমা বেগমের আত্মগোপন করা ছিল পুরোটাই নাটক। তাদের হেনস্থার জন্যই রহিমা বেগম স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন। রহিমা বেগমের এই অন্তর্ধানের পেছনে তার সন্তানদেরও ইন্ধন রয়েছে। বিশেষ করে তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান, মাহমুদা আক্তার ও ছেলে মিরাজ ওরফে মো. সাদী। প্রতিবেশীদের দাবি রহিমা বেগম এবং তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান, মাহমুদা আক্তার ও ছেলে সাদী ভীষণ উচ্ছৃঙ্খল। এলাকায় তারা মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, রবিবার দুপুরে রহিমা বেগম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) জানিয়েছেন, তাকে চারজন অপহরণ করেছিল। এরমধ্যে তিনি মহিউদ্দিন ও তার ভাই গোলাম কিবরিয়াকে চিনতে পেরেছেন। বাকি দুজনকে তিনি চিনতে পারেননি। তার আগে উদ্ধার হওয়ার পর ১৪ ঘণ্টা রহিমা বেগম মুখ খুলেন নি। দুপরে মেয়েদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মুখ খুলেন রহিমা বেগম। তখন তার নিখোঁজ হওয়ার পর মেয়ে আদূরীর দায়ের করা মামলায় এজাহার নামীয় দুই আসামির নাম উল্লেখ করে রহিমা বলেন, তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। আদালতের এক কর্মকর্তা দৈনিক জন্মভ‚মিকে বলেন, রোববার দুপুর দুই টার পর পুলিশ রহিমাকে আদালতে সোপর্দ করেন। মহানগর হাকিম মোঃ আল আমীনের আদালতে তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী দিয়েছেন। এরপর মহানগর হাকিম সরোয়ার আহমেদ তাকে মামলার বাদী রহিমা বেগমের মেয়ে আদূরীর জিম্মায় হস্তান্তর করেছেন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে রহিমা বেগমকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে পিবিআই’র পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা রহিমা বেগমকে সুস্থভাবে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছি। আল্লাহর রহমতে তিনি ভালো আছেন। আমরা তাকে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এরপর তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবো। তারপর অধিকতর তদন্ত শেষে বলতে পারবো তিনি কী স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলেন, না এর সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরা জড়িত! অথবা এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা।
দুপুর ১টার আগে পিবিআই কার্যালয়ে আসেন মরিয়ম মান্নানসহ তারা তিন বোন। তিনি তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের বলেন, আমার মাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়েছি এটাই বড় কথা। দুপুর দেড়টার দিকে মা রহিমা বেগমকে দেখতে যান মেয়ে মরিয়াম মান্নানসহ তার অন্য সন্তানরা। এ সময় তারা মা রহিমা বেগমকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
পরে মরিয়ম মান্নান বলেন, মাকে উদ্ধার করেছে পিবিআই ও দৌলতপুর থানা পুলিশ। এটা আমাদের কাছে খুবই খুশির খবর। এ সময় তিনি তার মা রহিমা বেগমকে আত্মগোপনে যেতে সহযোগিতা করার কথা অস্বীকার করেন।
এদিকে, রবিবার সকালে নগরীর কুয়েট রোডের মহেশ^রপাশা উত্তর বণিকপাড়ার খামারবাড়ি এলাকার ৩৫ নম্বর রহিমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বন-জঙ্গলের মধ্যে ভাঙ্গাচোরা দ্বোতলা একটি বাড়ি। দিনের বেলাইতেই ভ‚তুড়ে অবস্থা! গেট পেরিয়ে ইট বিছানো পথে বাড়ির ভেতর গেলে দেখা যায়, বাড়ির নিচ তলায় দুটি পরিবার ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।
রহিমা বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মুজিবর রহমান হাওলাদার বলেন, প্রতিবেশী কারো সঙ্গেই রহিমা বেগমের পরিবারের সদস্যদের কোনো সম্পর্ক নেই। রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান ভীষণ উগ্র প্রকৃতির। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ টিকতে পারছে না। কথায় কথায় সে লোকজনকে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়া আকলিমা বেগম জানান, রহিমা বেগম এ বাড়িতে থাকেন না। তিনি তার দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে নগরীর বয়রা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। তবে মাসে এক-দুদিন তার বর্তমান স্বামী বেল্লাল ঘটককে নিয়ে এসে থেকে যান। ২৭ অক্টোবর যে দিন রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়েছিলেন, তার আগের দিনও তিনি বেল্লাল ঘটককে নিয়ে এ বাড়িতে এসেছিলেন। পরের দিন ছিল শনিবার। ঐ দিন রাত ১১টার দিকে দ্বোতলা থেকে নেমে এসে বেল্লাল ঘটক আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তোমরা রহিমাকে দেখেছ কিনা।’ এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বেল্লাল ঘটকই প্রথম সবাইকে জানিয়েছে, রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়েছে।
তিনি বলেন, রহিমা বেগম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। পুলিশ এসে শুধু আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমার ভাইকে মনির হাওলাদারকে পুলিশ ধরে নিয়ে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। একমাস ধরে আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। এতদিন আমরা ঘুমাতে পারিনি। তাকে উদ্ধারের পর আমরা খুব স্বস্তি পেয়েছি।
রহিমা বেগমের নিখোঁজ হওয়ার পর তার মেয়ে আদূরীর দৌলতপুর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে খুলনা কারাগারে বন্দি রয়েছেন প্রতিবেশী মো. মহিউদ্দিন তার ভাই গোলাম কিবরিয়া এবং আরেক প্রতিবেশী নূর আলম জুয়েল।
গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী আয়েশা বলেন, রহিমা বেগমের সতীনের কাছ থেকে তাদের বাড়ির ২ কাঠা জমি প্রথমে একজন মহুরি কেনেন। সেই মহুরির কাছ থেকে আমার স্বামী গোলাম কিবরিয়া ওই জমি কিনে নেন। এরপর থেকেই রহিমা বেগম ও তার ছেলে-মেয়েরা আমাদের মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তাদের হয়রানির শিকার প্রতিবেশী সকলেই। তাদের সকলকে এলাকার লোকজন মামলাবাজ হিসাবে চেনে। ভয়ে তাদের সঙ্গে এলাকার কেউ কথা বলে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী ও ভাসুরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের সমাজের কাছে ছোট করা হয়েছে। আমরা রহিমা বেগম এবং তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান, ছেলে মিরাজসহ এই ঘটনার পেছনে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আর যারা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি চাই।
রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরীর মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বন্দি নূর আলম জুয়েলের স্ত্রী সুমি বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, রহিমা বেগমের পরিবারের সদস্য খুব উচ্ছৃঙ্খল। এর আগেও রহিমা বেগম নিজের হাত নিজে কেটে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এবার নিজে আত্মগোপন করে তার মেয়েকে দিয়ে আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা করেছে। এখন আমার স্বামী কারাগারে বন্দি। আমার এক ও দুই বছরের সন্তান তার বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। আমরা রহিমা বেগম ও তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানের কঠোর শাস্তি চাই। কেন, তারা আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিল।
মো. আওরঙ্গজেব খান দুলু, মৌসুমী আক্তার রহিমাসহ উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগমের প্রতিবেশীরা জানান, রহিমা বেগম ও তার ছেলে-মেয়েরা এলাকায় মামলাবাজ বলে পরিচিত। তারা সবাই উচ্ছৃখল, কেউ তাদের ভালো বলে না। তারা এলাকাকে জর্জরিত করে দিয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, রহিমা বেগমের প্রথম স্বামীর নাম মান্নান হাওলাদার। বাড়ির কাছে ফুলবাড়ি গেটে তিনি জুতা সেলাই ও কবিরাজী করতেন। এলাকার লোকজনের কাছে তিনি ‘মুচি হাজি’ নামে নামে পরিচিত ছিলেন। এই স্বামীর পক্ষে পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর বেল্লাল ঘটক রহিমা বেগমের এক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। এরপর রহিমা বেগমের সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা হয়। তিন-চার বছর আগে এই বেল্লাল ঘটককেই রহিমা বেগম আবার বিয়ে করেন।
এদিকে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান এক সময় ঢাকায় ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন। ওই সময় তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া তার ভাই মিরাজ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর অঙ্গ সংগঠন যুব আন্দোলনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কয়েক বছর আগে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এছাড়াও সে তার মায়ের মামলায় জেল খেটেছে।
অন্যদিকে, বহুল আলোচিত ‘নিখোঁজ’ থাকা রহিমা বেগম উদ্ধার হওয়ার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর রবিবার দুপুর ১টার দিকে তাকে সন্তানদের মুখোমুখি করা হয়। এরপর তিনি মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, বাসার নিচ থেকে ৪ জন দুর্বৃত্ত মুখে কাপড় বেঁধে তাকে অপহরণ করেছিল।
পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব বাংলাদেশ (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান জানান, মরিয়ম বেগম জানিয়েছেন, চারজন তাকে অপহরণ করেছিল। এরমধ্যে তিনি মহিউদ্দিন ও তার ভাই গোলাম কিবরিয়াকে চিনতে পেরেছেন। বাকি দুজনকে তিনি চিনতে পারেননি।
রহিমা বেগমকে অপহরণের পর অজ্ঞাতস্থানে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। জমিজমার বিরোধ থাকায় কিবরিয়া ও মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন ব্যক্তি তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছেন ও বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিয়েছে।
তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর মনি নামে এক মহিলার কাছ থেকে তিনি এক হাজার টাকা নিয়েছেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার দুপুরে তাকে মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আব্দুল মান্নান বলছেন, রহিমা বেগমকে আত্মগোপন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছে, কিন্তু তিনি কোনো কিছুই বলেননি। আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পর সন্ধ্যায় তিনি তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানের সাথে বাড়ি ফিরেছেন।
\ ব্রিফিংয়ে যা বললো পুলিশ \
ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনায় আসা মরিয়ম মান্নানের মাকে উদ্ধার নিয়ে গত শনিবার গভীর রাতে নগরীর দৌলতপুর থানায় ব্রিফিং করেন খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম, রহিমা বেগম ফরিদপুরে আছেন। পরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের নির্দেশে আমাদের দক্ষ কিছু কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
রহিমার অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, রহিমা বেগম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার সকল ডিজিটাল ডিভাইস বন্ধ করে রেখেছিল। তাকে আমরা কোনোভাবেই ট্র্যাক করতে পারছিলাম না।
গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে যে বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই বাড়ির দুই নারীর সঙ্গে তিনি বসে গল্প করছিলেন, তবে আমাদের অফিসাররা তাকে উদ্ধারের পর কোনো কথার জবাব দেননি। সেই থেকে তিনি নির্বাক রয়েছেন।
পুলিশের ভাষ্য, ফরিদপুরের যে বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে আটক করা হয়েছে সেই বাড়ির মালিক কুদ্দুস মোল্লা এক সময় রহিমাদের খুলনার বাসায় ভাড়া থাকতেন। খুলনা শহরে পাটকলের শ্রমিক ছিলেন কুদ্দুস।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে রহিমার ছেলে মিরাজ একবার কুদ্দুসের বোয়ালমারীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। রহিমাদের সঙ্গে কুদ্দুসের তেমন সম্পর্ক ছিল না।
কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তিনজনকে আটকের কথা জানিয়ে কেএমপির কর্মকর্তা মোল্লা জাহাঙ্গীর বলেন, ওই বাড়ি থেকে আমরা তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে এসেছি। তারা হলেন কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী, ছেলে ও তার (কুদ্দুস) ভাইয়ের স্ত্রী। এই তিনজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, গত ১৭ আগস্ট ওই বাড়িতে রহিমা বেগম গিয়েছিলেন। প্রথমে তারা রহিমাকে চিনতে পারেনি। পরে একপর্যায়ে তাকে চিনতে পারে। তখন তাকে সাবেক বাড়িওয়ালা হিসেবে বেশ সেবাযতœ করেন (কুদ্দুস ও তার বাড়ির লোকজন)। পরবর্তী সময়ে তাদের কাছে (রহিমা) জানান, এর আগে তিনি গোপালগঞ্জের মকছেদপুর ও চট্টগ্রামে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে নিখোঁজ রহিমা বেগমের (৫২) সন্ধানে ময়মনসিংহে যায় তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান ও তার পরিবারের সদস্যরা। একটি সালোয়ার দেখে মায়ের লাশ দাবি করেন মরিয়ম। তবে পুলিশ বলেছিল, ডিএনএ টেস্ট ছাড়া লাশ চ‚ড়ান্তভাবে শনাক্ত করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী বেল্লাল ঘটক ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।
রহিমার ছয় সন্তান কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনো আত্মীয়স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনের পর মাকে খুঁজে পেতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মামলাও দায়ের করেন। মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআই তদন্তের ভার পায়। ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়-এ অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদুরি আক্তার বাদী হয়ে পরের দিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জন আটক হয়েছেন।
তারা হলেন-খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, তার বড় ভাই মহিউদ্দিন, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল ঘটক, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা, পলাশ, নূর আলম জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।

করেস্পন্ডেন্ট September 26, 2022
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article পঞ্চগড়ে তীর্থযাত্রার নৌকা ডুবিতে নিহত ২৪
Next Article প্রতারণা করলে রহিমার জেল হতে পারে ৫ থেকে ৬ বছর
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

July 2025
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Jun    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

আশাশুনির বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন, আতংকে এলাকাবাসী

By করেস্পন্ডেন্ট 17 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনের জানা অজানা বিভিন্ন ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে পর্ব ৭

By করেস্পন্ডেন্ট 2 hours ago
সাতক্ষীরা

সুন্দরবনরক্ষায় দায়িত্ব আমাদের সকলের ‌,ইউএনও রণী খাতুন

By করেস্পন্ডেন্ট 11 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

আশাশুনির বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন, আতংকে এলাকাবাসী

By করেস্পন্ডেন্ট 17 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সুন্দরবনের জানা অজানা বিভিন্ন ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে পর্ব ৭

By করেস্পন্ডেন্ট 2 hours ago
জাতীয়

গোপালগঞ্জে বাসের ধাক্কায় নিহত ২

By করেস্পন্ডেন্ট 17 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?