যশোর অফিস : জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেছেন,জাকের পার্টি মানুষের কল্যাণে কাজ করে। জাকের পার্টি সব সময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। বৈষম্যবিরোধী সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে জাকের পার্টি কাজ করে যাচ্ছে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্টির তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সবাইক এক হয়ে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা রুখে দিতে হলে এবং নতুন সংস্কার করতে হলে ঐক্যবদ্ধর বিকল্প নেই। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিকল্প নেই।
তিনি রোববার যশোর জিলা পরিষদ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। দলের জেলা সভাপতি হাজী মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত মহাসচিব মাহাবুবুর রহমান হায়দার, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবীর, শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাস্তুহারা ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ,সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদ মোল্লা,কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৃষক মহীউদ্দীন ফকির, তালাবা ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতী কাউসার আহমেদ চাদপুরী, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, মহিলা ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা শাহিদা হায়দার দিপ্তী এবং জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন প্রতিনিধিবৃন্দ ।
তিনি আরও বলেন, জাকের পার্টি চাই এবারের নির্বাচন জনগণের চাওয়া পাওয়ার নির্বাচন হোক। জনগণের পছন্দের নির্বাচন হোক। জনগণের সত্যিকারের আস্থার নির্বাচন হোক। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক উৎসবমুখর পরিবেশ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এবারের জাতীয় নির্বাচনের গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রতিটি দলের গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।
জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার আরো বলেছেন, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব, পেশী শক্তির প্রভাব দূর করতে হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, বিতর্কমুক্ত, অংশগ্রহনমুলক, সর্বজন গ্রহনযোগ্য, উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে ই- ভোটিং ও ব্লক চেইন টেকনোলজি প্রবর্তন করতে হবে।
জাকের পার্টির মহাসচিব বলেন, জাকের পার্টির প্রতিষ্ঠার পর যতগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে শুধুমাত্র দেশ ও জাতির স্বার্থে এককভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। জাতীয় স্বার্থে কখনো কখনো আদর্শগত ও ইস্যুগত ভাবে কারো না কারো সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই, যে দলগুলো জনগণের কথা বলে, জনগণের স্বার্থের কথা বলে, দেশ ও জাতির কথা বলে তাদের প্রতি আমাদের যথেষ্ট সম্মান আছে। সকল দলের সঙ্গে কুটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। সামনের পরিস্থিতি বলে দেবে আমরা জোটবদ্ধ হব না এককভাবে যাত্রা অব্যাহত রাখব।