জন্মভূমি ডেস্ক : রাশিয়ার পর চীন পশ্চিমের ‘পরবর্তী লক্ষ্য‘। সেই সঙ্গে ‘স্বাধীনভাবে কাজ করার সাহস করে’ এমন যে কোনো দেশ তাদের লক্ষ্য হবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেগেই ল্যাভরভ শুক্রবার এ কথা বলেছেন। পশ্চিমারা বিষয়টি ‘লুকাচ্ছে না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে দেখা করার পর আংকারায় এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, পশ্চিমারা লুকিয়ে রাখে না যে তাদের কথা মতো রাশিয়া যদি পরাজিত হয়, তাহলে চীন তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে। সেই সঙ্গে যে কোনো দেশ, যারা স্বাধীনভাবে কাজ করার সাহস করে এবং জাতীয় স্বার্থে কাজ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর নির্ধারণ করা পথ অনুসরণ করে না, তারাও লক্ষ্য হবে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো বিবৃতি দিয়ে বলছে যে এটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার সঠিক সময় নয়। তারা কিয়েভকে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, তারা ইউক্রেনের সংঘাতের সমাধান করতে চায় না। ল্যাভরভ সতর্ক করেছেন, যদি কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তির রাশিয়ান অংশটি বাস্তবায়িত না হয়, তবে মস্কো তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে পারে এবং তুরস্ক ও কাতারের মাধ্যমে শস্য রপ্তানির জন্য কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামান্য বৃদ্ধি করতে বাধ্য করা হয়েছিল এবং শস্য মাত্র ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। যদি আর কোনো অগ্রগতি না হয়, তবে আমরা পুনর্বিবেচনা করব।’ লাভরভ বলেছেন, ‘সংহতির করিডোরের’ অস্তিত্বকে বিবেচনা করলে শস্য চুক্তিটি আরো বেশি সন্দেহজনক, যার মাধ্যমে ইউক্রেন স্থল পথে ইউরোপে তাদের পণ্য রপ্তানি করে। গত জুলাইয়ে তুরস্ক, জাতিসংঘ, রাশিয়া ও ইউক্রেন তিনটি ইউক্রেনীয় কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরুর জন্য ইস্তাম্বুলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেটি বিরতি দেওয়া হয়। চুক্তিটি নভেম্বরে ১২০ দিনের জন্য এবং মার্চে আরো ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।