ডেস্ক নিউজ : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, এবং প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি এবং জলকামান।
জানা যায়, বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তারা পাশের স্থানে রক্তিম জুলাই-২০২৪ ব্যানারে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড়ের কাছে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে তারা বঙ্গভবনের দিকে এগিয়ে যায়, তবে পুলিশ তাদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়। পরে তারা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানান, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরাও সেখানে রয়েছেন।
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, “আমরা সতর্ক রয়েছি। কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করছেন, তাদের বাধা দেওয়া হয়নি তবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।”
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে তিনি সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যান। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঘোষণা করেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। তবে রাষ্ট্রপতি সম্প্রতি বলেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে কোনো দালিলিক প্রমাণ পাননি এবং পদত্যাগপত্র সংগ্রহে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে সরকার পতনের নেতৃত্বদানকারীরা আবারও বিক্ষোভে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন।