বিজ্ঞপ্তি : রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকদের সঞ্চয়পত্র, ঈদের বোনাস, ছুটির পাওনা, শিক্ষা ভাতাসহ খালিশপুর, দৌলতপুর, জাতীয়, কেএফডি ও আর আর জুটমিলের শ্রমিকদের সকল বকেয়া এবং রাষ্ট্রীয় পাটকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালুর দাবি ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে খালিশপুরের বিভিন্ন পাটকলের শ্রমিকরা সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর ফেরীঘাট এলাকা থেকে খালি মালসা হাতে নিয়ে একটি ভূখা মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সমানে এসে শেষ করে। মিছিল শেষে সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খুলনার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকদের সঞ্চয়পত্র এবং অন্যান্য পাওনা দাবি আদায় কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কমিটির সভাপতি শেখ মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সমম্পাদক আল আমিন শেখের সঞ্চালনায় অবস্থান চলাকালে বক্তৃতা করেন সঞ্চয় কমিটির উপদেষ্টা শ্রমিকনেতা মোঃ আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাপদক মোহাম্মদ আলী, এস এ রশীদ, জনার্দন দত্ত নান্টু, মুনীর চৌধুরী সোহেল, মিজানুর রহমান বাবু, মাহাবুববুর রহমান খোকন, মোঃ মোমিন। বক্তারা বলেন, বর্তমানে চাল-ডাল-তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম লাগাম ছোঁয়া। অর্থের অভাবে তারা বয়স্ক পিতা-মাতার চিকিৎসা করাতে পারছে না। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া সিকেয় তুলতে হয়েছে। টাকার টেনশনে প্রায় এক মাস আগে চাকুরি হারানো দুই শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছেন। অথচ সরকার প্রতিনিয়ত দেশের উন্নয়নের কথা, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন। রাস্তাঘাট, বড়-বড় মার্কেট, হাইরাইজ বিল্ডিং, ফ্লাইওভার, সেতু নির্মাণের ফিরিস্তি দেওয়া হচ্ছে। একদিকে উন্নয়নের বুলি আওড়ানো হচ্ছে অন্যদিকে দেশের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। পাটকল-চিনিকল বন্ধ করে শ্রমিক-কৃষকের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য হু-হু করে বৃদ্ধির ফলে শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের জোর দাবি, ঈদুল আজহার আগে পাটকল অবিলম্বে চালু ও সকল পাওনা পরিশোধ করা হোক, নতুবা ঈদের পর এই উত্তপ্ত রাজপথে আগুনঝরা আন্দোলন গড়ে তোলা হব্।ে