জন্মভূমি ডেস্ক : নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ মাতুব্বর।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাধীন শহীদবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করেন। এছাড়া পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করেন। এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের নিবৃত করতে গেলে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নেয় আসামিরা।