
জন্মভূমি রিপোর্ট : রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের গোডাউন মোড় এলাকায় নয় বছর বয়সী এক শিশুকে পাশবিক নির্র্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২২ জুন এ ঘটনার পর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে ভিকটিম নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। গত সোমবার আসামি রজব আলীকে ওই এলাকা হতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে এখন কারাগারে আছে।
ভিকটিম শিশুটি আদালতে নির্যাতনের বিবরণ উল্লেখ করে জবানবন্দী দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর নির্যাতিতার মায়ের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শিশুটিকে তার মায়ের জিম্মায় প্রদাণের আদেশ দিয়েছেন। আদালতের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, শিশুটির মা গৃহকর্মী। তিনি অন্যের বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালান। ২২ জুন সকালে তিনি মেয়েকে সাথে নিয়ে কাজে বের হন। দুপুর একটার দিকে মেয়েটি একা বাড়ী ফিরছিলেন। পথে রজব আলীর চায়ের দোকানের সামনে পৌছালে ওই লম্পট তাকে খাবারের প্রলোভনে দোকানে ডেকে নিয়ে পায়ু পথে ধর্ষণ করে। আহত শিশুটি কাঁদতে-কাঁদতে বাড়ী এসে তার মাকে ঘটনা বলে। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, শিশুটির মা মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে নৈহাটী গোডাউন মোড় এলাকা হতে আসামি রজব আলী (৪২) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে থানা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করলেও আদালতে জবানবন্দী দেয়নি। আসামি ওই এলাকার মৃত: আবুল কাশেমের ছেলে।