রূপসা প্রতিনিধি : রূপসায় উপজেলার আমদাবাদ গ্রামে তিন লাখ টাকার মাছ লুট, জীবননাশের হুমকি ও ঘের জবর দখল প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১টায় রূপসা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমদাবাদ গ্রামের মোঃ সামছুর রহমান শিকারীর ছেলে মোঃ সুমন শিকারী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমদাবাদ গ্রামের মধ্য থেকে প্রবাহিত ছিরু খাল নামে একটি মরা খাল রয়েছে। যা বিভিন্ন ব্যক্তি খন্ড খন্ড আকারে ভোগ দখল করছে। আমাদের বাড়ি লাগোয়া এখালের একটি অংশ রয়েছে। যার বিআরএস খতিয়ান নং ১/১, দাগ নং ২৪৯। জলাশয়ের পরিমাণ ১৮ শতাংশ। উক্ত ১৮ শতাংশ জলাশয় আমার দাদা মৃত ইউসুফ শিকারীর আমল থেকে ৬০ বছর যাবৎ আমাদের ভোগ দখলে রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমার পিতা মোঃ সামছুর রহমান শিকারী, চাচা ফজলুর রহমান শিকারী ও নজরুল ইসলাম শিকারী মাছ চাষ করছে। সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত উক্ত জলাশয় বন্দোবস্ত আনার জন্য আমরা খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড অফিসে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু বর্তমানে খাস জমি বা জলাশয় বন্দোবস্ত বন্ধ থাকায় আমাদেরকে আপাতত শান্তিপূর্নভাবে উক্ত জলাশয় ভোগদখলের মৌখিকভাবে অনুমতি দেন উপজেলা প্রশাসন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, দুষ্টচক্র নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওযার্ড মেম্বর কামরুজ্জামান সোহেলের নেতৃত্বে ২২ সালের ২২ জুলাই বিকালে সঙ্গবদ্ধ হয়ে ঘের জবর দখল ও মাছ লুটের চেষ্টা চালায়। এসময় আমাদের প্রতিরোধের মূখে তারা ব্যর্থ হয়ে গোটা পরিবারকে খুন ও গুম করার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এঘটনার পর আমরা আদালতে ১০৭ ধারা মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের পর তারা আমাদের ভোগদখলীয় জলাশয়ের বা আমাদের কোন ক্ষতি করবেনা মর্মে আদালতে বন্ড দেয়। একপর্যায় থানার সামনে আমাদের জলাশয়ের মাছ লুটের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতরা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে কেন মামলা করা হলো এ নিয়ে আমাদের শাসাতে থাকে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত