মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে মাছ ধরতে বাধা দেওয়ায় এঘটনা ঘটে। কৃষক জুলহাস ভূইয়া ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ীর চর গ্রামের রুহুল আমিন ভূইয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন, এজাহারনামীয় আসামি (ইউপি সদস্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম, (সাবেক ইউপি সদস্য) মনিরুল ইসলাম ফকির ও মোঃ বাচ্চু ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল অনুমান ১০টার দিকে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এজাহারনামীয় আসামীরাসহ অজ্ঞাত নামা ১৫/২০জন রুহুল আমিন ভূইয়ার ছেলে মোঃ জুলহাস ভুইয়ার পানের বরজের পাশের মৎস্য ঘেরে ঢুকে মাছ ধরতে থাকে। জুলহাস খবর পেয়ে ঘেরে যেয়ে তাদের মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। এসময় ইউপি সদস্য ও তার দলবল জুলহাসকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট ও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা জুলহাসকে উদ্ধার জখম অবস্থায় করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় আহতের ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহার নামীয় আসামিরা হল ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড’র ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪০)। অন্যরা হল আনন্দনগর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিন ফকিরের ছেলে মোঃ বাচ্চু ফকির (৪৫), মনিরুল ইসলাম(৫৪), মোঃ বাশার (৪০), পিতা-মৃত নজির মোঃ মনিরুল উদ্দিন মাষ্টার, সেকেন্দার আলী শেখ (৪০), পিতা-কাশেম শেখ, মোঃ সিরাজুল ফকির ওরফে মন্টু (৪৮), পিতা-ইন্তাজ ফকির, ইউনুস সরদার (৫৫), পিতা-বেরম সরদার, মোঃ আনোয়ার ফকির (৪৫), পিতা-রহমান ফকির, আছাবুর মোল্লা (৪৫) সকলেই রূপসা থানা এলাকার বাসিন্দা।
বাদী জানায় মামলা দায়েরের পর আসামি পক্ষের লোকজন তাকে মারপিট করার চেষ্টা করছে।