রূপসা প্রতিনিধি
রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের স্কুল ছাত্রী মীম খাতুনকে হত্যা করা হয় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে। হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট আসামী প্রেমিক হোসাইন এবং রবিউল ইসলাম শেখ আদালতকে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দী প্রদান করেছে।
পুলিশ জানায়, গত ২২ জুন সন্ধ্যায় বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নাজমুল কবিরের আদালতে পুলিশের হাতে ধৃত আসামীদ্বয় এ জবানবন্দী প্রদান করেছে। তারা জবানবন্দীতে ঘটনার সাথে নিজেদের সত্যতার কথা স্বীকার করেছে এবং ঘটনার মূল নায়কের নামও তারা জবানবন্দীতে উল্লেখ করেছে। কিন্তু হত্যাকান্ডের কারন সম্পর্কে এখনও আসামীরা মুখ খুলছেনা।
তবে পুলিশ বলছে হত্যাকারীদের কোন গোপন রহস্য মীম জানতো অথবা কোন গোপন বিষয় দেখে ফেলেছিলো বলে মীমকে এভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দীপক কুমার বিশ্বাস জানান, মামলার অন্যতম আসামী রফিক মোল্লাকে ঘটনার পর পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনার সাথে রফিক মোল্লা এবং কাইয়ুম শেখের কতটা সম্পৃক্ততা আছে তার রহস্য উদঘাটনের জন্য উক্ত আসামীদ্বয়কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। থানা পুলিশের ওসি সরদার মোর্শারফ হোসেন জানান, ঘটনার পর লাশ উদ্ধার হলে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এজাহারভুক্ত ৩ আসামীসহ পুলিশের তদন্তে আসা অন্যতম আসামী রফিক মোল্লাকেও আটক করা হয়েছিলো। রফিক মোল্লাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের কারন এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। রফিক মোল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলাসহ এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় গোয়ালবাড়ির চর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ওরফে মন্টু ফকিরের কন্যা, আনন্দ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে দুষ্কৃতকারীরা পাশবিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে মাত্র ৩ শত গজ দুরে একটি জঙ্গলের গর্তে ফেলে রাখে। পুলিশ ২০ জুন লাশ উদ্ধার করে।