জন্মভূমি ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনটি লার্নিং সেন্টার, স্থানীয়দের দুটি ঘরসহ রোহিঙ্গাদের ৩৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে টেকনাফের লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-৯ ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ এবং রোহিঙ্গারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
আগুনের খবর পেয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ও স্থানীয় মেম্বার মো. আলী ঘটনাস্থলে যান। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস এসে সম্মিলিতভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই অগ্নিকাণ্ডে এনজিও সংস্থার পরিচালিত তিনটি লার্নিং সেন্টার, ক্যাম্প এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় হায়দর আলীর মেয়ে ফাতেমা খাতুন ও মৃত মোজাহার মিয়ার স্ত্রী জরিনার ঘরসহ রোহিঙ্গাদের ৩৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক মাঝি আজিম উল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গাদের শেড বা ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। সকলের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে তিনটি এনজিও সংস্থার লার্নিং সেন্টার, স্থানীয়দের দুটিসহ মোট ৩৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ১৬ আর্মড (এপিবিএন) পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জামাল পাশা বলেন, প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ৩৫টির মতো ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে বলে জেনেছি। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, সেটি খতিয়ে দেখছি আমরা।