জন্মভূমি ডেস্ক : বাগেরহাটের মোল্লাহাট থেকে হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর ৫ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬)। বুধবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে মোল্লাহাট উপজেলা থেকে এদেরকে আটক করা হয়।আটকৃকতরা হলেন, পিরোজপুর জেলার মৃত কামাল গাজীর ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (২৩), গোপালগঞ্জের গাউছ মোল্লার ছেলে মোঃ আকাশ ওরফে, আব্দুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ জাকির ফকিরের ছেলে তাজিমুদ্দিন ওরফে, জসীমউদ্দীন (২১), সৈয়দ আহাদুজ্জামানের ছেলে মোঃ রিপন (২০) এবং মাদারীপুর জেলার মতিউর রহমানের ছেলে ইসমাইল হাসান অনিক (২০)। আটকদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত নোট বই ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক মোল্লাহাট থানায় সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৬ এর সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) তারেক আনাম বান্না।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর তথ্য অনুযায়ী র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৬ এর অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর পাচ সদস্যকে আটক করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সদস্য। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে তামিম আল আদনানী, হারুন ইজহার, গুনবীসহ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক নেতার বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে। পরবর্তীতে তারা সংগঠনের সদস্য সংগ্রহে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
আটককৃতদের মধ্যে তরিকুল গোপালগঞ্জের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। আব্দুল্লাহ বাগেরহাটের একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করত। তাজিমুদ্দিন গোপালগঞ্জের স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ইমামতি করতো। ইসমাইল গোপালগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়ণরত ছিল। সে তরিকুলের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘আনসার আল ইসলাম’ এ যোগদান করে। রিপন ২০২২ সালে আব্দুল্লাহ’র মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করে। তরিকুল, আব্দুল্লাহ ও তাজিমুদ্দিন ২০২১ সালে ‘আনসার আল ইসলাম’ এ যোগদান করে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ০৩ হাজার এবং হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় ০২ হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় এনেছে।