জন্মভূমি ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। এই লকডাউন ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে দোকানপাট-শপিংমল খোলা থাকবে। কিন্তু বন্ধ থাকবে গণপরিবহন চলাচল।
সোমবার) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধি-নিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলমান লকডাউন এ নিয়ে তৃতীয় দফায় বাড়ানো হলো।
এর আগে বলা হয়েছিল, আগামী ২৮ এপ্রিল বুধবারের পর আর লকডাউন থাকবে না। চালু হবে গণপরিবহন, সীমিত পরিসরে খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
তবে লকডাউন থাকায় চালু হবে না গণপরিবহন। প্রয়োজন অনুযায়ী সীমিত পরিসরে খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, সামনে লকডাউন সেভাবে আর বাড়বে না। তবে তখন জীবনযাত্রার বিষয়ে দিক-নির্দেশনার দিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। গণপরিবহন চালু বিষয়টি সিদ্ধান্তের পর্যায়ে আছে। চালু হলেও তো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে। আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে হবে। যেভাবে আস্তে আস্তে বন্ধ হয়েছে, সেভাবে খুলবে।
\ মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর ব্যবস্থা \
ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর হার বাড়া ও চলাচলে বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউন’ বাড়ার মধ্যে সোমবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, কোনো জরুরি কাজে কেউ ঘরের বাইরে গেলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তাকে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকার বার বার নির্দেশনা দিয়েছে। ‘কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেকেই এ নির্দেশনা অমান্য করছেন। এক্ষেত্রে বাইরে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার না করলে সরকার কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও, প্রয়োজনে প্রত্যেককে দু’টি মাস্ক ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে সরকার।