জন্মভূমি রিপোর্ট : এক সময়ের গরীবের কচুর লতি এখন বিত্তবানদের খাবার। লতিরাজ জাতের কচু চাষ করে কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। সবজি ও ভেজষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্যালশিয়াম অক্সালেট কম থাকায় গলা চুলকায়না। কচু থেকে সবুজ রংয়ের লতিরাজ জন্ম নিচ্ছে। কচু গাছ থেকে ৯মাস লতি সংগ্রাহ করা যায়। এদের জীবনকাল ৯মাস। প্রতিবিঘায় ৫০মন লতি সংগ্রহ করা হয়। বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকা।
সূত্র জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা এবং কোটালি পাড়া গ্রামে ২০বিঘা জমিতে লতিরাজ কচুর ২০টি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করেছে। মার্চ মাসে রোপন করা হয়েছে। লতি সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে এপ্রিল মাস থেকে।
দু’দিন পর পর লতি সংগ্রহ করা হয়। সব শেষে কচু তোলা হবে। দীর্ঘ ৯মাস পর্যন্ত লতি সংগ্রহ করা হয়। কৃষক প্রতিকেজি লতি পাইকারী বিক্রি করছেন ৫০টাকা দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭০-৮-টাকা। স্বল্প খরচে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষক। কচু চাষে সামান্য সার ব্যবহার করতে হয়। সব মিলিয়ে বিঘায় বিক্রি হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। লতিরাজ পানিকচু চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন এবং বদলে গেছে কৃষকের জীবন। তাদের উৎপাদিত কচু ও লতি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকায়। তাদের সংসারে অভাব দূর হয়েছে। যে জমিতে পানি ধরে রাখতে পারে সে জমিতে চাষ করতে হয়। লতিরাজ কচু বেশ জনপ্রিয় সবজি। পুষ্টির দিক থেকে লতির প্রধান্য বেশী। দেশের বাইরেও যাচ্ছে লতি। রয়েছে ভিটামিন ও প্রচুর পরিমান লৌহ। লতি বিক্রির পর প্রতিটি কচু বিক্রি হবে হবে ২০-২৫টাকা দরে।
গোপালগঞ্জ কোটালিপাড়ার গ্রামের কৃষক মো. রবি শেখ ও আমতলী রহমান আলী বলেন, জিকেবিএসপি প্রকল্প বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ, সারসহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করা হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। পতিত জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করে লাভবান হয়েছি।
জিকেবিএসপি প্রকল্প পরিচালক অমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস বলেন, লতিরাজ কৃষক লাভবান হচ্ছেন। ভালো দামে বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও বিক্রি করছেন। কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হচ্ছেন। তিনি বেশী করে কৃষকদের সবজি আবাদ করার আহবান জানান।