জন্মভূমি রিপোর্ট : ঈদ মানে খুশি, আনন্দ। এই আনন্দ ভাগাভাগী করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তৈরি করেন নানা মুখরোচক খাবার। এর মধ্যে মাংস অন্যতম। তবে এবারের ঈদ উপলক্ষে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে গরু ও খাসির মাংস। ঈদকে সামনে রেখে ৭০০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। গত দুই দিনের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা প্রতি কেজি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদের বাড়তি চাহিদা কাজে লাগিয়ে গরুর মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে গরুর দাম বাড়ছে। বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে বলে বাধ্য হয়ে তাদের মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে গরুর দাম বেড়েছে। গত কয়েক দিনে হাটে আকারভেদে একেকটি গরুর দাম ১৫ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত বাড়তি দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে পরিবহন ভাড়া ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার বিষয়টি।
এদিকে এ দফায় দাম বাড়ায় রাজধানীতে প্রতি কেজি মাংসের দাম দুই দিনে ১০০ টাকা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নড়রীর ময়লাপোতা মোড়ের মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। যেসব দোকানে দিনে একটি গরু জবাই করা হয়, আজ সেখানে তিন-চারটি গরু জবাই করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি দোকানের মূল্যতালিকায় গরুর মাংস ৭৫০ লেখা থাকলেও ৮০০ টাকা কেজি রাখা হয়েছে। এদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি।
তবে এবার সাধারণ মানুষ দলবদ্ধভাবে গরু কিনে মাংস ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এমনট্ াদেখা গেছে। নগরীর টুটপাড়া, বানিয়াখামার, বসুপাড়া, বাগমারাসহ বিভিন্ন মহল্লায় এই চিত্র দেখা গেছে। এবিষয়ে এক গরুে খাড়াদার ইসমাইল হোসেন বাবু বলেন, উৎসব আসলে মাংসের দাম বেড়ে যায়। তাই আমরা ৪৫ জন মিলে দুটি গরু কিনেছি ৩ লাখ টাকায়। প্রতি ভাগে মাংস পেয়েছি সাড়ে ৮ কেজি। এতে তাজা মাংসও যেমন পেয়েছি তেমন দামও কম পড়েছে।