জন্মভূমি ডেস্ক : লেবাননের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সেনাপ্রধান জেনারেল জোসেফ আউনকে নির্বাচন করা হয়েছে। দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পছন্দের প্রার্থী সুলেমান ফ্রাঙ্গিয়েহ নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে পারেন। সে কারণে সেনাপ্রধান জেনারেল আউন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন।
২৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে শূন্য ছিল লেবাননে প্রেসিডেন্ট পদ। বুধবার এ বিষয়ে দেশটির সংসদে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। তারপরই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৎপরতা দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান লেবাননের রাজধানী বৈরুত সফরে গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দেশটির সংসদীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ও সংসদীয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ড্রিয়ান। কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচনার জন্য আউনকে সুপারিশ করেছেন তারা। কিন্তু হিজবুল্লাহ এবং আমাল আন্দোলনের এমপিরা আউনের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন।
তাদের মত, জেনারেল আউনের নির্বাচনের জন্য একটি সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজন হবে। কারণ তিনি এখনো সেনাবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তার পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর হিজবুল্লাহর সংসদীয় ব্লকের প্রধান এমপি মোহাম্মদ রাদ বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে লেবাননের জনগণের ঐক্যমতের পথে হিজবুল্লাহ বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
দেশটির গণমাধ্যমের ধারণা, জেনারেল আউন যদি হিজবুল্লাহ এবং আমালের সমর্থন পান তাহলে ১২৮ সদস্যের সংসদে ৯৫ ভোটে জয়ী হবেন। এমন হলে দেশটির সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে না।
২০২২ সালের অক্টোবরে সাবেক রাষ্ট্রপতি মিশেল আউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে লেবাননে রাষ্ট্রপতির পদটি শূন্য রয়েছে। উপযুক্ত প্রার্থীদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল।