
লোহাগড়া প্রতিনিধি : ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে নবান্ন ও পিঠা উৎসব।
পিঠা শুধু খাবার হিসাবে বিবেচ্য নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারী সমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়ে আসছে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখন পিঠা, পায়েস, পুলি কিংবা খৈ-মুড়ি কথা ওঠে তখনই যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। শীতকালে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠাপুলির উৎসব।
এ উপলক্ষে শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে ইতনা শিশু- কিশোর সংগঠনের উদ্যোগে ইতনা ইসহাক মোল্যার মাঠে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে ইতনা গ্রামসহ আশেপাশের এলাকা থেকে ছোট ছোট শিশু কিশোর, নারী-পুরুষ বৃদ্ধরা এ পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। উৎসবে ভাজা পিঠা, রসপাকান,পুলি পিঠা,পাটি সাপটা, দুধ পুলি, রসবড়া, ফুলবড়া, ফুলপিঠা স্থান পায়।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য সৈয়দ আলী জাফর বলেন, মূলতঃ বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের রসনা বিলাসের অন্যতম উপকরণ হলো নানা রকমের পিঠা। পিঠাপুলি সম্পর্কে এখনকার শিশুরা তেমন একটা জানেই না। এখন আর শিশু কিশোররা মুখরোচক পিঠা-পুলির সঙ্গে পরিচিত নয়। তাদেরকে এই পিঠা পুলি সম্পর্কে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে আজকের এই আয়োজন। এই প্রথমবারের মতো আমরা শুধু মাত্র শিশু -কিশোরদের জন্যই এ আয়োজন করেছি। আগামীতে বৃহৎ পরিসরে এ আয়োজন করবো।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক শেখ আবু বক্কার, সৈয়দ আল মুবিনুল ইসলাম দুলক, শিক্ষক নারগিস সুলতানা দোলন, ঝর্ণা খানম, নূরজাহান বেগম, মুক্তা জাফর, লিমা খানম, ইসতিহা মনি ইচ্ছাসহ প্রমুখ।