লোহাগড়া প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় নিখোঁজের ঘটনার চারদিন পর একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিকৃত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ শেখ (১৫) উপজেলার চরদৌলতপুর গ্রামের ইকরাম শেখের ছেলে। পুলিশ বুধবার বিকালে নিহত সিরাজের বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে লংকারচর গ্রামের মিরু শেখের বাড়ির পাশের বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চরদৌলতপুর গ্রামের ইকরাম শেখের ছেলে ও স্বরসতী একাডেমীর এসএসসি পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ শেখের (১৭) সাথে একই গ্রামের সবুর শেখের মেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ইয়াসমিনের (১৪) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । তাদের দু’জনের মধ্যে প্রায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগসহ দেখা-সাক্ষাৎ হতো।
তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর গত ৬ এপ্রিল রাত ৮টার পর সিরাজ নিখোঁজ হলে তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে লোহাগড়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করা হয়। জিডি দায়েরের একদিন পর বুধবার বিকালে এলাকাবাসী লংকারচর গ্রামের মিরু শেখের বাড়ির পাশের বাগানের মধ্যে একটি বিকৃত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশের উপস্থিতিতে নিহত সিরাজের পরিবারের সদস্যরা লাশ সনাক্ত করে এবং পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসীর ধারনা, অজ্ঞাত দুবৃর্ত্তরা সিরাজকে কৌশলে হত্যা করে তার মুখ দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে বিকৃত করে নির্জন স্থানে ফেলে রাখে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন সাংবাদীকদের জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকা ইয়াসমিন, তার পিতা সবুর শেখ, ও তার মা এবং ভাই জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন জানান, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।