নড়াইল, লোহাগড়া ও কালিয়ার পথে-প্রান্তরে ও স্থানীয়দের বসত বাড়ির আঙ্গিণায় শোভা পাচ্ছে এসব রক্তলাল ফুল সমৃদ্ধ অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছ । এ যেন এক অপরুপ মনমুগ্ধকর ভালবাসার অনুভুতির ছোঁয়া। আর এসব কৃষ্ণচূড়া ফুলের নিজস্ব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রিয় পথিক। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুঁটেছে। সবুজের বুকে শুধুই লালের রাজত্ব। দূর থেকে মনে হয় ময়ূর তার রাঙা পেখম মেলে ধরেছে প্রকৃতির মাঝে। লক্ষ্য করা গেছে, নড়াইলের আঞ্চলিক সড়কসহ বিভিন্ন বসতবাড়ির পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। কৃষ্ণচূড়া ফুলে ঠাসা গাছের ডালগুলো নিয়ে নুয়ে পড়েছে।
ঈদের ছুটিতে গ্রামে আসা আরাফাত রহমান জয়, রাতুল হাসান, সেতুু ইসলাম, রাজিয়া সুলতানা বিউটি, শিমুল হাসান, নাসরিন জামান বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসেছি। বহুদূর থেকে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখা যাচ্ছে। বন্ধুবান্ধব নিয়ে রাস্তায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে ভালো লাগছে। এই ফুল এত সুন্দর কাছ থেকে না দেখলে এর সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব হতোনা।
এড়েন্দা বাজারের নার্সারীর মালিক উজ্জ্বল বলেন, তার নার্সারীতে প্রচুর পরিমানে কৃষ্ণচূরা গাছের চারা রয়েছে। তার ভান্ডারে ১০০-৪০০ টাকা দামের কৃষ্ণচূড়ার চারা গাছ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাপ্তাহিক হাটে নিজস্ব নার্সারীর ফলজ, বনজ ও ফুল গাছের চারা বিক্রি করছি, এই ফুল দেখতে অনেক সুন্দর।
ননড়াইল জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা হাসান খান জানান, নড়াইলসহ সমগ্র জেলা জুড়ে কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে গেছে। এর সৌন্দর্য আসলেই অপরুপ। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ ফুলের চারা রোপন করা হয়। জাত অনুসারে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রংয়ের মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা থাকে। কোনও কোনও ফুলের রং অতি গাড়লাল ও হালকা লাল। আবার কিছু কিছু কৃষ্ণচুড়ার রং হলদে হয়ে থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটার সময় থেকে থোকায় থোকায় গাছের ডালে পর্যায়ক্রমে ফুল ফুঁটতে থাকে। সৌন্দর্য বর্ধণে পরিবেশবান্ধব কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশাপাশি অন্যান্য গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।