মোঃ মোস্তফা কামাল, লোহাগড়া : নড়াইলের লোহাগড়ায় পৌর বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বিরোধের জের ধরে হামলা ও দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং মোহড় ও পাল্টা মোহড়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে বিরোধ শুরু হলে দুপুরে মিমাংশা করা হয় তবে সন্ধ্যায় আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম লোহাগড়া পৌর বিএনপির লক্ষীপাশা অফিসে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে পৌর বিএনপি সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মিলু শরীফ ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম এর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। খবর পেয়ে কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমের ছেলে রিজভী সহ তার সহযোগিরা সভাস্থলে এসে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে হামলার চেষ্টা চালালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মসিয়ার রহমান সান্টুর বাসায় জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ঘটনার মিমাংসা করে দেন। কিন্তু পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মিলু শরীফ অভিযোগ করেন, সন্ধ্যায় আমার বাড়ির সামনে থেকে আমার উপর হামলা চালায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমের ছেলে রিজভীসহ একদল দূর্বৃত্ত।
এদিক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমের ছেলে রিজভী জানান, পৌর বিএনপির সভাপতি মিলু শরিফের বাড়ির সামনে ড্রিম হ্যাভেন রেস্টুরেন্টে ছাত্রদলের ইফতার পার্টি ছিলো। ইফতার শেষ করে আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে তারাবির নামাজের উদ্দেশ্যে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়া মাত্রই কমিশনার মিলু শরীফসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে ছ্যানদা, হাতুড়ি, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোহাগড়া বিএনপির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যেকোনো মুহুর্তে বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য যে, গত ২ মাস পূর্বে লোহাগড়া বিএনপি আয়োজিত একটি র্যালি শেষে লক্ষীপাশাস্থ পৌর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেলিম কাজী ও মিলু শরিফের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। মুলত সেখান থেকেই দু- গ্রুপের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রুপ নেয়।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ আশিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।