
দিঘলিয়া প্রতিনিধি : নগরীর প্রাণকেন্দ্র শঙ্খ সিনেমা হলের তৃতীয় তলায় কর্মচারীদের বিশ্রামাগার, সেখানে চলে মাদকের আসর ও দেহ ব্যবসা। সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ইংরেজি ২৫ আগস্ট নগরীর খালিশপুর থানার মোঃ নান্নু মিয়ার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার (১৬) সিরিজ ধর্ষণের শিকার হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কোভিড-১৯ (করোনা) ভেক্সিন নিতে খালিশপুর হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজে আসেন ভিকটিম সুরাইয়া আক্তার। সেখানেই আসামি আলী হাসানের সাথে পরিচয় হয় এবং মোবাইল নাম্বার লেন-দেন হয়। আসামি আলী হাসান পরিচয় দেয় সে খুলনা শঙ্খ সিনেমা হলের ম্যানেজার। প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে। একপর্যায়ে শঙ্খ সিনেমা হলের তৃতীয় তলায় নিয়ে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে ফেলে এবং মোবাইল ফোনে উলঙ্গ ভিডিও ছবি ধারণ করে রাখে আসামি আলী হাসান। ঐ বিবস্ত্র ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আবার কয়েক দিন পরে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে সিনেমা হলে ডেকে নিয়ে বিবাহ করার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে আলী হাসান ও তার তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণের ছবি ভিডিও ধারণ করে। একে-একে তিনজনই পালাক্রমে ধর্ষণ করে। উক্ত ধুরন্ধর হাসান ভিডিও ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় শঙ্খ সিনেমা হলের তৃতীয় তলায় কর্মচারীদের বিশ্রামাগার এ নিয়ে জোর ূর্বক ধর্ষণ করে। বিবাহের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ভিকটিম সুরাইয়া আক্তারকে হত্যার হুমকি দেয়। গরীব পরিবারের অসহায় মেয়ে বাধ্য হয়ে পরিবার কাছে ঘটনা খুলে বলে, উক্ত আলী হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দেয়।
ভিকটিমের পরিবার খুলনা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে আসামির বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে ভিকটিমের আলামত না থাকায় মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। ২০২২ সালের ২২ আগস্ট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-১ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা (জেলা ও দায়রা জজ) অভিযোগকারী কর্তৃক দাখিলকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০২৩) ২০০০ এর ৯(১),৩০ ধারার অধীনে মামলাটি হয়। মামলাটি অধিকৃত তদন্ত রিপোর্টসহ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে দাখিল করতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পারে নি খুলনা সদর থানা পুলিশ। আসামি আলী হাসান পালিয়ে থেকেও ভিকটিম ও ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে জানা যায়। আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এটাই ভিকটিম ও তার পরিবারের দাবি।