ডেস্ক নিউজ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজজামান শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। এ ছাড়া গত ৩ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিববুল্লাহ তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
এর আগে গত সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার তাপসকে পরদিন মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় আজ বুধবার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ দুজনের একসঙ্গে রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়।
তখন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মৃত্যুজয় পণ্ডিত মিঠুন তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। এ সময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য ইশতিয়াক মাহমুদসহ অন্যরা ছাত্র-জনতার সঙ্গে একত্রিত হয়ে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরস্থ আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র উক্ত মঞ্চ থেকে ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডার এজাহারনামীয় আসামিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ ও আর্থিক সহযোগিতায় অন্য আসামিরা ব্যাপক দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করে দেশি ও বিদেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইশতিয়াকের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা, মারধরসহ গুলিবর্ষণ করে। আসামিদের ছোড়া গুলির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনিসহ ছাত্রদের অভিভাবক ও ছাত্র-জনতা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে আসামিদের ছোড়া অনেক গুলি তার পেটে, পিঠে, হাতে, মাথায় লাগলে গুরুতর আহত হন। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। শমী কায়সার এ মামলায় ২৪ নম্বর এবং তাপস ৯ নম্বর এজহারনামীয় আসামি।