শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস : শরণখোলায় মাহে রমজানের শেষের দিকে এসে ঈদ বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। গত দুই তিন বছরের করোনাসহ নানা কারণে ব্যবসা মন্দার ক্ষতি কিছুটা হলেও এবছর কাটবে বলে দোকানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
শরণখোলা উপজেলার কয়েকটি হাট বাজার ঘুরে সর্বত্র দোকানগুলোতে ত্রেতা সাধারণের ব্যপক ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস, শাড়ী কাপড় ও গহনার দোকানে ক্রেতারা বেশী ভিড় জমাচ্ছেন। দিনে রাতে সমানে নারী পুরুষ ক্রেতারা বাজার গুলোতে প্রয়োজনীয় ঈদের সামগ্রী কিনছেন। রায়েন্দা বাজারের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এম ওয়াদুুদ আকন বলেন, করোনাসহ গত দুই/তিন বছরে ঈদের সময় আমাদের তেমন কোন বেচাকেনা হয়নি। এবার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকায় ঈদের বেচকেনা ভালই হচ্ছে বলা যায় ব্যবসা মন্দার ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটবে বলে ঐ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জানালেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শাড়ী কাপড়ের ব্যবসায়ী একই ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করে জানালেন, গত ২/৩ বছরের মধ্যে এবার ব্যবসা ভালো হচ্ছে মুলধন ঠিক রেখে দোকান কর্মচারীদের বেতন পারিশ্রমিক ঠিক সময়ে দেওয়া সম্ভব হবে। জুতার দোকানে তেমন ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছেনা তবে ঈদের ২/১ দিন আগে জুতার দোকানে বেচা কেনা বাড়বে বলে মোঃ সোহেল নামে একজন জুতার দোকানী জানালেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার অন্যতম তাফালবাড়ী বাজার, আমড়াগাছিয়া বাজার ও রাজাপুর বাজার ঘুরেও দোকানগুলোতে জমজমাট ভিড় দেখা যায়। ঐসকল বাজারের ব্যবসায়ীরাও এবারের ঈদ বাজারের বেচাকেনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। রায়েন্দা বাজারে গার্মেন্টস পোষাক কিনতে আসা একজন নারীক্রেতা জানালেন এবার কাপড়ের চোপড়ের দাম একটু বেশী। বাবু নামে মুদি মণিহারী দোকানী জানালেন, সেমাই চিনিসহ ঈদে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য বিক্রি বেড়ে গেছে। রমজানের শেষের দিকে এসে কাঁচাবাজারে শসাসহ তরিতরকারীর দাম অনেকটা কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।