শরণখোলা : বাগেরহাটের শরণখোলার উত্তর রাজাপুর এলাকার মোস্তফা গাজী ও ইউপি সদস্য হেলাল সরদার নামে স্থানীয় দুই বিএনপির নেতার অব্যাহত ষড়যন্ত্রে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতির মো. জাকির হোসেন খান। তার পরিবার ও স্থানীয় আওয়ামী কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বিএনপির ওই চক্রটি। রবিবার দুপুর ১২টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন তাঁতীলীগের ওই সভাপতি। উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি জাকির হোসেন খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩ জানুয়ারি রাতে ওযার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা গাজীকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মারধর করে। তখন হামলাকারীদের কাউকেই তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান। কিন্তু এই বিষয়টি পুঁজি করে বিএনপি সমর্থক ও রায়েন্দা ইউনিয়নের ১নম্বর উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল সরদার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। ঘটনার ২২দির পর গত ২৫ জানুয়ারি আমার ও আমার দুই ভাইসহ এলাকার ছয় জনের নামে মোস্তফা গাজীর মেয়ে ইসরাত জাহান মৌকে বাদী করে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান ইউপি সদস্য হেলাল সরদার। জাকির হোসেন খান আরো বলেন, আমার বাবা মৃত আবুল খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি ও আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি দুইবার ১নম্বর উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডের মেম্বার ছিলাম। তৃতীয়বার নির্বাচনে দাড়ালে বিএনপি নেতা হেলাল সরদার উপজেলা আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতার আর্শিবাদ পেয়ে আমাকে জোরপূর্বক প্রার্থী থেকে সরিয়ে দেন। এখন ওই বিএনপি নেতা আমার ও আমার পরিবারসহ এলাকার নিরিহ আওয়ামী সমর্থকদের ওপর নির্যাতন-নিপিড়ন শুরু করেছেন। তিনি বলেন, আমি উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি হয়েও তার ষড়যন্ত্রে হাত থেকে রেহাই পাচ্ছিনা। তার কর্মকান্ডে স্থানীয় আওযয়ামীলীগের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আমি দলীয়ভাবে এবং প্রশাসনের কাছে বিএনপি নেতা হেলাল সদর ও মোস্তফা গাজীর বিচার দাবি করি।