জন্মভূমি ডেস্ক : একই মাদরাসায় পড়তো ঈসা (১৩) এবং ইয়াসিন (১২)। দুই সহপাঠী বন্ধু চলতো একই সাথেই। বাড়িও পাশাপাশি গ্রামে। বাবার সঙ্গে অভিমান করে ঈসা গলায় দড়ি আত্মহত্যা করে সোমবার (১৪আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে।
বন্ধুর মৃত্যুতে একপ্রকার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে ইয়াসিন। মৃত্যুশোক সইতে না পেরে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ইয়াসিনও গলায় দড়ি দিয়ে একইভাবে আত্মহত্যা করে।
২২ ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর ও পাশ্ববর্তী উত্তর কদমতলা গ্রামে।
মো. হাবিব হাওলাদারের ছেলে ঈসা এবং মো. শফিকুল গাজীর ছেলে ইয়াসিন কদতমলা মরহুম ছোট হুজুরের মোহসিনিয়া ফোকানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় এই সাথে পড়তো।
রাজেশ্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কাওসার আকন এবং উত্তর কদমতলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. খায়রুল ইসলাম শরীফ জানান, মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসায় ঈসাকে বকাঝকা করে তার বাবা। সেই কষ্টে-ক্ষোভে ছাগলের ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। বন্ধুর মৃত্যুশোকে পরেরদিন একইভাবে বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দেয় ইয়াসিন। তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক। দুই সহপাঠীর মৃত্যুতে দুই পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার জানান, দুই মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যুতে থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পৃথক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই মৃত্যুর বিষয়ে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।