শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা : একদিকে প্রচন্ড দাবদাহ অন্যদিতে ঘন-ঘন লোডশেডিংয়ে শরণখোলায় জনজীবনে নাভি:শ্বাস উঠেছে। বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বরফকল গুলোতে বরফ উৎপাদন কমে গেছে।
গত কয়েকদিনে প্রচন্ড দাবদাহের কারণে শরণখোলা মোরেলগঞ্জ অঞ্চলে ঘন-ঘন লোড শেডিং শুরু হয়েছে। দিন রাতে ৪/৫ ঘন্টা করে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের জীবনমান ওষ্ঠাগত প্রায়। শরণখোলার খুড়িয়াখালী গ্রামের রাসেল বয়াতী, দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মাসুদ মীর, খোন্তাকাটা গ্রামের সাইদুর রহমান মুন্সি, উত্তর সাউথখালী গ্রামের বাদশা শেখসহ অনেকে বলেন, গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। প্রতিদিন পালাক্রমে ৪/৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে বিশেষ করে ইফতার ও সেহরীর সময় বিদ্যুৎ থাকেনা। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের ফলে বরফ উৎপাদন কমে গেছে মৎস্যজীবিদের চাহিদামত বরফ দেওয়া যাচ্ছেনা বলে জানালেন উপজেলার রাজৈর মেঘা বরফ কলের মালিক গোলাম মোস্তফা তালুকদার।
অপরদিকে, অত্যাধিক গরম ও খরায় গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পানিবাহিত ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ১০/১৫জন করে ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য আসছেন।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল আহমেদ বলেন, গত এক সপ্তাহে শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫ জনের মধ্যে রোববার ভর্তি হয়েছেন ৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন বলেন, বর্তমান দাবদাহের কারণে সারাদেশেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে ফলে লোডশেডিং হচ্ছে। গরমের আধিক্য হ্রাস পেলে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে পল্লী বিদ্যুতের জিএম জানিয়েছেন।