শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস : শরণখোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মধ্যযুগীয় কায়দায় আক্রমণ ও বেদম মারপিট করে জমি জবর দখলে নিয়ে জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় ২ নারীসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্বরোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রামে সোমবার সকালে।
পশ্চিম খোন্তাকাটা (চৌমহনা) গ্রামের সুলতান মুন্সির পুত্র হুমায়ূন কবীরের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, পশ্চিম খোন্তাক্টাা গ্রামের ধলু মুন্সি, খলিল মুন্সি, জাকারিয়া মুন্সি, আসাদ ফরাজী, শাকিল কাজীসহ তাদের আরো ২৫/৩০ সঙ্গীয় লোকজন দলবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোমবার (২৯ মে) সকালে দা লাঠি লোহার রড নিয়ে তাদের বসত বাড়ীতে আক্রমণ করে জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এ সময় বাধা দেওয়ায় আক্রমণকারীরা তার ভাই হারুন মুন্সি (৬০) ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৫৫) মেয়ে সালমা আক্তার (২২) ও ভাইঝি জামাই আলী হোসেন খান (৪৫) কে বেদম মারপিটে রক্ত্ক্তা জখম করে ফেলে রাখে। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। হামলাকারীরা তড়িঘড়ি করে জমিতে ঘর নির্মাণ করে তাতে অবস্থান নেয়। হুমায়ূন কবীরের অভিযোগে আরো বলা হয়, তাদের দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমি নিয়ে ধলু মুন্সি বিরোধ করায় অতি সম্প্রতি বাগেরহাট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে ঐ জমিতে ১৪৪ ধারা জারী করা হয়। কিন্তু ধলু মুন্সিগং আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের জমি জবর দখল নেয়। ঘটনার সময় খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলাকারীদের সহযোগিতা করে বলে অভিযোগে জানা যায়।
শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, মারামারির বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি জানিয়েছেন।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত