জন্মভূমি ডেস্ক : শরণখোলার উত্তর কদমতলা গ্রামের চাই ব্যবসায়ীরা ভালো নেই। মৌশুমের তিন মাস চলে গেলেও পানির অভাবে মাছ ধরার চাই বিক্রি আশানুরুপ হচ্ছেনা। লোকসানের মুখে ঋণ পরিশোধের দুঃশ্চিন্তায় তাদের দুই চোখে ঘুম নেই।
বুধবার সকালে উপজেলার চাইয়ের জন্য খ্যাত উত্তর কদমতলা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শত শত চাইয়ের পসরা সাজিয়ে ক্ষুদ্র এই ব্যবসায়ীরা মলিন মুখে বসে আছেন । চাই বেচা বিক্রি নেই। ব্যবসায়ী দুলাল হাওলাদার বলেন, প্রতি বছর বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয়ে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত এই চার মাস তারা চাই বিক্রি করে থাকেন। এখন ভরা শ্রারণ কাংখিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল বিল মাঠ ঘাট পানি শূণ্য থাকায় তাদের তৈরী হাজার হাজার চাই বিক্রি হয়নি। উত্তর কদমতলা গ্রামে ১৫/২০ টি পরিবার চাই বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন এবং এখানে বছরে প্রায় ত্রিশ লাখ টাকার চাই বিক্রি হয় অথচ মৌশুমের তিন মাস চলে গেছে এ পর্যন্ত সকল ব্যবসায়ীর মিলে তিন চার লাখ টাকার চাই বিক্রি হয়েছে বলে ব্যবসায়ী দুলাল জানান। অপর ব্যবসায়ী জামাল মুন্সি বলেন, তাদের তৈরী মাছ ধরার চাই মোরেলগঞ্জ, রামপাল, মঠবাড়ীয়া ও পাথরঘাটার জেলে ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে মাঠ ঘাটের পানিতে চাই বসিয়ে মাছ ধরে থাকেন। পানির অভাবে এবছর চাই বিক্রি না হওয়ায় প্রত্যেক ব্যবসায়ীর ৮০/৯০ হাজার টাকা লোকসান হবে। মহাজন এবং এনজিও থেকে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে তারা চাই তৈরী করেছেন এখন কিভাবে তারা এই ঋনের টাকা পরিশোধ করবেন সে চিন্তায় রাতে তাদের দুই চোখে ঘুম আসেনা বলে জামাল মুন্সি জানালেন। ব্যবসায়ী খোকন হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, হাবিব হাং, হেলাল হাওলাদার,ফরিদ হাং ও হাসান হাওলাদার পরিবেশ বান্ধব মাছ ধরার চাই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে তারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও বিনা সুদে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত