হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
শেখ হাসান আল মাহমুদ, শরণখোলা : শরণখোলায় ঠান্ডা জনীত কারণে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহে শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ৬ মাস যাবৎ হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন নেই। রয়েছে প্রয়োজনীয় ঔষধের অভাব। বাজার থেকে স্যালাইনসহ ঔষধ কিনতে হচ্ছে বলে রোগীর স্বজনরা জানান।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহান্ত ধরে প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে ১০/১৫ জন করে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে ডায়ারিয়া চিকিৎসার জন্য স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ নেই। রোগীর স্বজনদের বাজার থেকে স্যালাইনসহ ঔষধপত্র কিনতে হচ্ছে বলে জানালেন রাজইর গ্রামের রোজিনা বেগম, দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের চম্পা বেগম, রাজাপুর গ্রামের ছাত্তার হাওলাদারসহ অনেকে।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশফাক হোসেন বলেন, হাসপাতালে ৬ মাস ধরে কলেরা স্যালাইন সরবরাহ নেই। অভাব রয়েছে ডায়রিয়া চিকিৎসার অন্যান্য প্রয়োজনীয় ঔষধের। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে অভিভাবকরা ১০/১৫ জন করে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এক সপ্তাহে শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিছু কিছু বয়স্ক ব্যক্তিরাও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আসছেন। সাধ্যমত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে ডাঃ আশফাক জানান।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রিয় গোপাল বিশ্বাস দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, প্রচন্ড শীতে শিশুরা রোটা ভাইরাস জনীত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের সময় এরুপ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটে। হাসপাতালে ঔষধের সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আজ সোমবার সকালে ঢাকা থেকে ঔষধ সরবরাহ পাওয়া গেছে।