
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেছেন, “আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলে মিলে একটি সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলতে চাই। সম্প্রীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের শক্তি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সব সম্প্রদায়ের মানুষের সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তালা শিল্পকলা একাডেমিতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত সার্বিক খোঁজখবর ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ আরও বলেন, মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না, তাহলে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা মণ্ডপে কেন পাহারা দিতে হবে? বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে চায় যেখানে সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করবে এবং শতভাগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে। ইতিমধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সময়ে পাশে দাঁড়িয়ে জামায়াত তার প্রমাণ রেখেছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মফিদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. মাহমুদুল হক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক ইদ্রিস আলী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য ডা. আফতাব উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি গাজী সুজায়েত আলী, তালা উপজেলার সভাপতি আমিনুর রহমান, ইসলামকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আয়ুব আলী, মাগুরার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আয়ুব আলী এবং সাংবাদিক আলতাপ হোসেন।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, তালা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, শালিখা কলেজের অধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র সাধু, অজিৎ ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল ঘোষ, মেম্বার শংকর কুমার দাশ, শিক্ষক পঞ্চানন কুমার ঘোষ, অমল কুমার মল্লিক, হারান কুমার পাল, বিষ্ণু সাধু, মেম্বার মহাদেব ঘোষ, উত্তম কুমার ঘোষ, কৃষ্ণ পদ ঘোষ, ইউপি তপন কুমার ঘোষ, শিবপদ সরকার, আশুতোষ ঘোষ, সরোজিৎ সরকার ও শিক্ষক পরেশ চন্দ্র দত্ত।
সভায় তালা উপজেলার প্রায় সব পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে খোঁজখবর নেওয়া এবং সম্প্রীতি সভার আয়োজন করায় আমরা আনন্দিত। এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।