হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর : শীতকালীন সবজির আগাম চাষে কাঙ্ক্ষিত লাভের দেখা পাচ্ছেন কেশবপুরের কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতে দাম তুলনামূলক বেশি পাওয়ায় ইতিমধ্যে অনেকের উৎপাদন খরচ উঠে এসেছে। বর্তমানে সবজি বিক্রি করে মুনাফা গুনছেন চাষিরা। এতে করে গ্রামগুলোতে তৈরি হয়েছে স্বাচ্ছন্দ্যের আবহ। এদিকে ক্ষেত থেকে সবজি সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকের পরিবারের সদস্যরাও। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জমিতে এসেও এসব সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে কেশবপুর ৮৫৬ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২১০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের সবজি চাষের ফলন এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের নানা রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন শীতকালীন সবজির মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেত থেকে সবজি তোলা ও পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। কেউ ক্ষেত থেকে বিক্রয় উপযোগী টমেটো সংগ্রহ করছেন। কেউ ক্ষেত থেকে মুলা সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শ্রমে অর্জিত স্বপ্নের ফুলকপি তুলছেন এবং ক্ষেত থেকেই তা বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। অনেক চাষি বাড়ন্ত সবজির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নারী-পুরুষের সমতায় মাঠে মাঠে যেন ফুটে উঠেছে আবহমান বাংলার চিরচেনা আবর্জনাময় চাষিরা জানান, আগাম সবজিতে এ বছর লাভবান কৃষক। মাঝেমধ্যে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবার আগাম সবজি চাষে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অনেক চাষিরই। এতে করে আগামী বছর আগাম সবজি চাষে অনেক চাষি সবজি আবাদে আগ্রহী হবেন বলেও জানান তারা।
কেশবপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাসের সাথে নিয়ে জানা যায় আলতাপোল গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস সরদার, কৃষক আল-আমীন সরদার কৃষক আব্দুস ছাত্তার আগাম সবজি চাষে অনেক লাভবান এবং এই সবজি চাষীরা সচ্ছল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫৬ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি অফিস সবজির পরিচর্যায় মাঠে মাঠে গিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করে আসছে। আগাম সবজি চাষিরা নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বাজারে তুলছে। এতে ভালো দামও পাচ্ছে তারা। ফলে আগাম সবজি চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। শীতকালীন সবজির চাষের বিষয়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। এ মৌসুমে কৃষকরা বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, শিম,মিষ্টিকুমড়া, গাজর, বিটকপি, ওলকপি, পালংশাক, সবুজশাক,সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ ব্যাপক হারে বেড়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া যদি অনুকূলে না থাকে তার প্রভাব সবজির উপর পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত