মোঃ এজাজ আলী : সারাদেশের মতো ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে জবুথবু খুলনার জনজীবন। গতকাল (সোমবার) সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, হিমেল হাওয়ার সাথে কনকনে শীতে রোদের দেখা মেলাই ভার। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। আর এই শীত নিবারনের জন্য কদর বেড়েছে পুরাতন গরম কাপড়ের। উষ্ণতা পেতে মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকান ও পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে। কিনছেন সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, ব্লেজার, শাল, কানটুপি ও হাতমোজা। প্রতিটি দোকানেই সাধারন সময়ের চেয়ে কয়েকগুন বেড়েছে বেচাকেনা। তবে ক্রেতাদেও অভিযোগ চাহিদা বাড়ায় বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। এতে কওে বেকায়দায় পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে বিক্রেতাদের দাবি বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশিতে। নগরীর জব্বার মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, ফেরিঘাট, ডাকবাংলা, শিববাড়ি, দৌলতপুর, খালিশপুর, বয়রা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত, মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। লিপি বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, পুরাতন গরম কাপড়ের বাজারে এসেছি ছেলের জন্য জ্যাকেট কিনতে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। চেষ্টা করছি কম দামে এশটি ভালো জ্যাকেট খুঁজে বের করতে। আরেক ক্রেতা লাভলী বেগম বলেন, জানুয়ারীর শুরু থেকেই কনকনে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এসময় শিশুরা বেশিরভাগই ঠান্ডা-কাঁশি ও জ¦রে আক্রান্ত হচ্ছে। এ কারনে শিশুদের জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি। নিক্সন মার্কেটে আসা লাভলু নামে এক ব্যাক্তি বলেন, গরম জামা কাপড়ের দোকানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ৫০০ টাকার কাপড় এখন ৮০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছেন দোকানিরা। মনে হচ্ছে মার্কেট থেকে না কিনে ফুটপাতে যেতে হবে। সেখানে অল্প দামে অনেক ভালো জামা-কাপড় পাওয়া যায়। পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসায়ী জহির বলেন, গুবারের চেয়ে এবার খুলনায় শীত বেশি পড়ছে। যার করনে আমাদেও বেচা-বিক্রিও ভালো হচ্ছে। এবারের মালের দামও কিছুটা বেশি। প্রতি বান্ডিলে (বেলে) দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এয়াড়াও প্রতি বান্ডিলে ৫/৭ টা বাতিল মাল রয়েছে। তাই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল আজাদ দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, খুলনায় ৭ জানুয়ারী এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় খুলনায় স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকার কথা। তাপমাত্রা কম থাকায় গত কয়েকদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। গতকাল দুপুরের পর সামন্য সূর্যেও মুখ দেখা গেলেও শীতের তীব্রতা তেমন একটা কমেনি।