মোঃ এজাজ আলী
দেশব্যাপী সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার খুলনার রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। জরুরি যানবাহন ছাড়া নগর সড়কে যানবাহনের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। তবে সড়কে ছিল রিক্সা। আষাঢ়ের বাদল দিনে আকাশ ছিল কালো মেঘে ঢাকা। নগরীর অস্থায়ী কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে খুব কম সংখ্যক ক্রেতা বাজারে এসেছেন। অনেকেই লকডাউনের খবরে নিত্যপণ্যসহ বাজার সওদা আগেই কিনে রেখেছেন। সকাল ১০ টায় নিরালার মোড়ে অস্থায়ী কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা তেমন একটা নেই। নিরালা ১০ নং রোডের বাসিন্দা জামিল জানান, শুক্রবার আমি বাজার করি। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় সব্জির দাম একটু কম। বাজারে মাত্র চার থেকে পাঁচটি দোকানে শাক-সব্জি রয়েছে। হারুন নামে এক বিক্রেতা বলেন, নিরালা থেকে হেঁটে গল্লামারী থেকে মালামাল নিয়ে আনতে হয় বাজারে। এজন্য অল্প কিছু কাঁচামাল এনেছি। বেশি সব্জি আনলে লোকসানের আশংকা থাকে। সরকার এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দিয়েছে। একারনে বাজারে ক্রেতা কম আসছে। আজকে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। এদিকে খুলনায় যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাইরে বের হলেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা। আর্থিক জরিমানা ছাড়াও শাস্তির বিধান চালু রয়েছে। নগরীর বেশ কয়েকটি মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে এ কার্যক্রম চলছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, খুলনায় করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। দিন দিন খারাপ অবস্থা হচ্ছে। মানুষ করোনার ভয়াবহতা গণমাধ্যমে দেখছে। এরপরও তারা সচেতন হচ্ছে না। নগরীর বড় বাজারে মাস্ক না পরে ঘুরতে আসা এক ব্যক্তিকে দুইশত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে গতকাল শুক্রবারও আমাদের সাথে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রয়েছেন। সকাল-বিকেল দুবেলাই অভিযান চলবে।
শুক্রবার লকডাউনে নগরী ছিল ফাঁকা, কাঁচা বাজারে লোকসমাগম কম
Leave a comment