
বিজ্ঞপ্তি : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি দেশে ফিরে দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ফিরিয়ে আনেন। তিনি নিপীড়িত শোষিত-বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ান। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার ফিরে এসেছিলেন বলে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তার নেতৃত্বে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ।
মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুলের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকত আলী, হাফেজ মো. শামীম, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, তসলিম আহমেদ আশা, শেখ দাউদ হায়দার, শাহিন জামান পন, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, শেখ এশারুল হক, রনজিত কুমার ঘোষ, মো.সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, বাদশা হাওলাদার, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, আফরোজা জেসমিন বিথী, মো. শহীদুল হাসান, জহির আব্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেসসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করে মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম।